Posts

বেটা ফিশ/ ফাইটার ফিশ এর অক্সিজেন

Image
  অনেকেই আছেন যাদের সুস্পষ্ট ধারণা নেই, যে বেটা ফিশ বা ফাইটার ফিশ জন্যে অ্যাকুয়ারিয়াম এ অক্সিজেন দিতে হয় কি না । প্রথমেই বলে রাখি মাছটির আসল নাম কিন্তু বেটা ফিশ কিন্তু মাছটির মারকুটে স্বভাবের জন্যে বেশিরভাগ লোক এই মাছটিকে ফাইটার ফিশ নামেই ডেকে থাকে। এই মাছটি পোষার জন্যে অ্যাকুয়ারিয়ামের মধ্যে আলাদা ভাবে কোন রকম অক্সিজেন সাপ্লাই করার প্রয়োজন হয় না । এই মাছের অক্সিজেন খুবই কম লাগে বলতে গেলে এই মাছের জন্যে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না কারন এই মাছ একটি নির্দিষ্ট বয়সের  ( 6 থেকে 7 সপ্তাহ ) পরে সরাসরি বাতাস থেকেই অক্সিজেন নিয়ে থাকে।  আপনি যদি কোন রকম অক্সিজেনের ব্যাবস্থা ছাড়া মাছ পুষতে চান , তাহলে এই মাছের কোন বিকল্প হয় না ।    তবে মনে রাখবেন যেখানেই এই মাছ রাখুন না কেন তার মুখ যেন খোলা থাকে বা যদি আপনি যদি ঢাকাও দেন দেখবেন যেন ওই ঢাকনা তে যেন বাইরের বাতাস ঢোকার পথ থাকে। মনে রাখবেন যেখানে এই মাছ রাখবেন ,সেখানে ভুলেও কোন রকম অক্সিজেন সাপ্লাই করবেন না । যদি এই মাছ যেখানে রাখবেন,সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ করেন , তাহলে এই মাছের মারা যাবার সম্ভাবনা 100 ভাগ...

শীত কালে কোন মাছ বাচ্চা দেয়?

  এগ বেয়ারার মাছ অর্থাৎ যে সমস্ত অ্যাকুয়ারিয়াম এর মাছ গুলি সরাসরি বাচ্চা দিয়ে থাকে, সেই সব মাছ গুলি সব ঋতু তেই কম বেশি বাচ্চা দিয়ে থাকে। যে সমস্ত অ্যাকুয়ারিয়াম মাছ গুলি ডিম পেড়ে থাকে, সেই সব মাছেদের মধ্যে বেশিরভাগ মাছ ই শীত কালে ডিম পাড়ে না ।    মাত্র কয়েকটি অ্যাকুয়ারিয়াম এর মাছ আছে যারা শীত কালেই সব থেকে ভালো , সব থেকে বেশি পরিমাণে ডিম পাড়ে। ওই সব মাছ গুলির বাচ্চা করার জন্য শীত কাল সবথেকে ভাল। শীত কালে যে সব মাছের ডিম পাড়ানো ভালো, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল  গোল্ড ফিশ এবং ক্যাট ফিশ এই দুই জাতের মাছের ডিম এই সময় পাড়ানো সব থেকে ভালো। এখানে গোল্ড ফিশ বলতে সব ধরনের গোল্ডফিশ এর কথাই বললাম যেমন রেড গোল্ড ফিশ, রেড ক্যাপ অরান্ডা, ব্ল্যাক গোল্ড ফিশ, বাবল আই গোল্ড ফিশ, পান্ডা গোল্ড ফিশ প্রভৃতি সমস্ত জাতের গোল্ড ফিশ শীত কালে সব থেকে ভালো মানের ,ভালো পরিমাণে ডিম পাড়ে। এই সময় কালে এইসব মাছের বাচ্চাও খুব ভালো ভাবে পালন করা যায়। এখানে ক্যাট ফিশ বলতে আমি হোয়াইট কড়ি ক্যাট ফিশ, ব্রোঞ্জ ক্যাট ফিশ, মার্বেল ক্যাট ফিশ , পান্ডা ক্যাট ফিশ ইত্যাদি ছোট জাতের ক্যাট ফিশের কথা...

গাপ্পী মাছের খাবার কি?

  গাপ্পী মাছ আমিষ এবং নিরামিষ দুই ধরণের খাবার ই খায় । জ্যান্ত খাবার হোক বা শুকনো খাবার , খেতে কোন আপত্তি নেই এই মাছের।   জ্যান্ত খাবারের মধ্যে ডাফনিয়া, কেঁচো, ব্লাড ওয়ার্ম, মশা এবং মশার লার্ভা  খেতে গাপ্পী মাছ খুব ভালো বাসে। আর অ্যাকুয়ারিয়াম মাছেদের জন্যে তৈরী করা যে কোন ধরনের শুকনো খাবার খেতে পারে। শুকনো খাবারের মধ্যে যদি প্যালেট অর্থাৎ দানা খাবার খেতে দেন, তাহলে মাইক্রো প্যালেট খাওয়াবেন, তা নাহলে যদি আপনি নর্মাল সাইজের বা তার চেয়ে বড় সাইজের দানা খাবার এই মাছকে খেতে দেন , সেই দানা খাবার গাপ্পী মাছেরা এক বারে গেলে নিতে পারে না । দানা খাবার গুলি ঠোকরাতে থাকে কিন্তু খাবারের দানাগুলো নরম না হওয়া পর্যন্ত খেতে পারে না। খাবারের দানা অ্যাকুয়ারিয়াম এর জলে বেশিক্ষন ভেসে থাকলে অ্যাকুয়ারিয়াম এর জল খারাপ হয়ে যাবে। Aquarium এর জল খারাপ হয়ে গেলে মাছ ও মারা যাবে। তাই মনে রাখবেন , গাপ্পী মাছ কে যদি প্যালেট খাবার দেন, তাহলে অবশ্যই মাইক্রো প্যালেট দেবেন। মাইক্রো প্যালেট খাবারের মধ্যে "অপটিমাম মাইক্রো প্যালেট" এবং হিকারি কোম্পানির মাইক্রো প্যালেট খুব ভালো।

অ্যাকুয়ারিয়াম এর মাছের হোয়াইট স্পট অসুখ এবং এর প্রতিকার

 White spot ( ichthyophthirius multifilis ) হোয়াইট স্পট, অ্যাকুয়ারিয়াম এ যারা মাছ পোষেন তাদের কাছে এই রোগ আতঙ্কের অপর নাম। Aquarium এ যারা মাছ পুসেছেন তাদের প্রত্যেকেই এই রোগের সঙ্গে কম বেশি পরিচিত। অ্যাকুয়ারিয়াম এর সব থেকে বেশি মাছ মারা যায় এই রোগ থেকেই। বেশিরভাগ মানুষের অ্যাকুয়ারিয়াম এ মাছ পোষা বন্ধ করে দেবার সব থেকে বড় কারন এই রোগ। হোয়াইট স্পট রোগ কেমন দেখতে? এই রোগ হলে ,মাছের গায়ে,পাখনায়  মিহি লবণ লেগে থাকলে যেমন দেখতে লাগবে ঠিক তেমনই দেখতে লাগবে। প্রথম দিকে দু চারটে সাদা মিহি দানা দেখা দেবে, 1 ,2দিন পর থেকে সারা গায়ে ভরে যাবে। মাছ ঝিমিয়ে পড়বে,খেতে চাইবে না। 3 দিন পর থেকে মাছ মরা শুরু হয়ে যাবে। হোয়াট স্পট রোগ কি ধরনের রোগ?       এই রোগ প্যারাসাইটিকাল ডিজিজ , হ্যা এই রোগ একটি পরজীবী অর্থাৎ প্যারাসাইট এর আক্রমণে হয়ে থাকে। অনেকেই এই রোগটিকে ফাঙ্গাস রোগ বলে থাকে কিন্তু আদপেও এটি ফাঙ্গাস রোগ নয় অ্যান্টি ফাঙ্গাস ওষুধ ব্যবহার করলে কিন্তু এই অসুখ কোন মতেই সারবে না।  হোয়াইট স্পট রোগ কখন হয়? এই রোগ বেশি হয় ঋতু পরিবর্তন এর সময়।বিশেষ করে গরম ...

গোল্ডফিশ মাছ এক সাথে কত গুলি ডিম পাড়তে পারে?

Image
  সাধারণত একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গোল্ডফিশ ( ওজন আনুমানিক 50 থেকে 60 গ্রাম) একেকবারে 5,000 থে10,000 হাজার ডিম পাড়তে পারে। 1 টি গোল্ডফিশ প্রজনন ঋতুতে,প্রতি সপ্তাহে 1 বার ডিম পাড়তে সক্ষম, তবে মাছের যত্নও যথেষ্ট পরিমাণে নিতে হবে।        গোল্ডফিশ 15 দিন গ্যাপ দিয়ে প্রজনন করানো সব থেকে ভালো। 15 দিন ছাড়া ব্রিডিং করালে এক সাথে ভালো পরিমাণ বাচ্চাও পাবেন আবার ডিম এর fartilijation ও ভালো হয়।7/8 দিন গ্যাপ দিয়ে প্রজনন করালে ডিম এর ফাঙ্গাস বেশি হয় ।   

Aquarium সেট আপ করতে কি কি লাগে?

Image
একটি অ্যাকুয়ারিয়াম সেটআপ করতে কমপক্ষে যে কয়টি জিনিস লাগে সেগুলি হল নিম্নরূপ: 1) অ্যাকুয়ারিয়াম 2) air pump  3) ফিল্টার 4) gravels 5) ব্যাক পোস্টার 6) light 7) thermostat heater 

কোন জাতের মাছ অ্যাকুয়ারিয়াম এ রাখা শুভ?

  ফেংসুই মতে বাড়িতে এমন ধরনের মাছ রাখা ভালো যে জতের মাছ স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির হয়। অ্যাকুরিয়ামে শান্ত প্রকৃতির মাছ রাখলে, ওই বাড়িতে বসবাসকারী সকলের মন শান্ত এবং প্রফুল্ল থাকে এবং সেইসাথে  বাড়িতেও শান্তির পরিবেশ বজায় থাকবে। বাড়িতে হিংস্র স্বভাবের মাছ থাকলে,এই ধারণাই করা হয় যে ওই মাছের দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকলে মনের স্থিরতা নষ্ট হয়ে পড়ে। তাই বাড়িতে অ্যাকুয়ারিয়াম এ শান্ত মনোরম মাছ রাখাই উচিত।   ফেংসুই মতে কয়েকটি ভালো শান্ত মাছের নাম । 1) গোল্ড ফিশ : ফেং শুই মতে বাড়িতে গোল্ডফিশ জাতের মাছ রাখা সব থেকে ভালো। ফেং শুই  মতে শুধু মাত্র লাল এবং কালো রংয়ের গোল্ডফিশ কেই প্রাধান্য দেওয়া হলেও যে কোন জাতের গোল্ডফিশ মাছ ই  বাড়ীতে রাখা ভালো। 2) গুপ্পি মাছ :  এই জাতের মাছ গুলিও খুব সুন্দর এবং শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। এই মাছ ও বাড়িতে রাখা খুব শুভ প্রমাণিত। 3) জেব্রা ডেনিও ফিশ : এই ছোট জাতের মাছ গুলি একসঙ্গে অনেকগুলি রাখা যায়। এই মাছ এখন অনেক রংয়ের পাওয়া যায় বলে একসঙ্গে খুব সুন্দর দেখতে লাগে।