Posts

আকুয়ারিয়ামের মাছের রোগ / অসুখ চেনার উপায় ( fish disease )

আপনি যদি আকুয়ারিয়ামে মাছ পুষতে চান , আপনার মাছেদের ভালো রাখতে চান , তাহলে আপনাকে মাছেদের রোগ সম্বন্ধে ভালোভাবে জানতে হবে । না হলে দেখবেন মাছ মারা যাচ্ছে এবং এই ভাবে কিছুদিন চলার পরে আপনার মাছ পোষার শখটি নষ্ট হয়ে যাবে । তাই আকুয়ারিয়ামে মাছ মাছ রাখতে হলে মাছের অসুখ সম্বন্ধে ভালো ধারনা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন ।  প্রথমেই বলি , আকুয়ারিয়ামে যত মাছ মারা যায় ,তার বেশীরভাগটাই মারা যায় আকুরিয়ামের জল খারাপ হবার কারনে । প্রথমে আকুরিয়ামের জল খারাপ হয় ,তারপরে ওই জলে থাকা মাছেদের ইনফেক্সান হয় । তাই আকুরিয়ামের জল ভালো রাখাটা খুব জরুরী ।  এখন দেখে নেওয়া যাক মাছের অসুখ চিনবেন কিভাবে ?  যেহেতু এখনো পর্যন্ত মাছের রোগ নির্ণয়ের জন্য তেমন কোন উন্নত যন্ত্রপাতি পাতি পাওয়া যায় না তাই মাছ এর রোগ বা অসুখ চেনার জন্য আমাদের চোখই ভরসা । আকুরিয়ামের মাছ যদি জলের মধ্যে স্বচ্ছন্দে ঘোরাফেরা না করে বা তাদের আচরনের মধ্যে কোন রকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে মাছটি বা মাছগুলি ওই আকুরিয়ামের মধ্যে তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়  পরিবেশ পাচ্ছে না বা মাছ গুলি অসুস্থ হয়ে পড়েছে । আকুয়ারিয়ামের 

গোল্ড ফিশ মাছের বাচ্চার পরিচর্যার পদ্ধতি ( how to care of new born baby gold fish )

গোল্ড ফিশ মাছের বাচ্চা করা যতটা সহজ , মাছের বাচ্চা বাঁচানো টা কিন্তু বেশ কঠিন । আজ আমি গোল্ড ফিশ মাছের বাচ্চা কিভাবে বেশী পরিমানে বাঁচানো যায় সেই সম্বন্ধে আলোকপাত করবো।        আপনারা দেখেছেন যে গোল্ড ফিশ মাছের বাচ্চা যতটা পরিমানে জন্মায় তার বেশ কিছুটা , এমন কি ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত বাচ্চা মরে যায় । তবে একথা ঠিক যে আপনি যাই করুন না কেন ১০০ শতাংশ বাচ্চা বাঁচানো সম্ভব নয় । তবে সঠিক নিয়ম মেনে চলতে পারলে ৯০ শতাংশ বাচ্চা বাঁচানো সহজেই সম্ভব । এখন দেখে নেওয়া যাক কোন নিয়ম গুলি মেনে চললে গোল্ড ফিশ মাছের বাচ্চা বেশী পরিমানে বাঁচানো যায় । ১) প্রথমেই আলোচনা করবো ব্রূডার মাছ বা ধাড়ি মাছ নিয়ে । বেশীরভাগ মানুষ প্রথমেই যে ভুলটি করে থাকেন তা হল মাছের পেটে ডিম এসেছে বুঝতে পারলেই সেই মাছ দিয়ে ডিম পাড়ানো শুরু করে দেন । কিন্তু এই ভুল করবেন না । মাছের ডিম পাড়াবার আগে ব্রূডার মাছের সঠিক সিলেক্সান করা খুব জরুরী । গোল্ড ফিশ মাছের ক্ষেত্রে মাছের বয়স হতে হবে ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে , এর কম বা বেশী হলে মাছের ডিম ফুটে যে বাচ্চা বের হবে তা দুর্বল প্রকৃতির হবে । এই ধরনের বাচ্চার মারা যাবার সম্ভাবনাও

ছোট অ্যাকুরিয়ামে কোন জাতের মাছ রাখা যায় ( fish keeping at small size aquarium )

অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে মাছ পুষতে চান কিন্তু জায়গার অভাবে ঘরের ভিতরে বড় অ্যাকুরিয়াম রাখতে পারেন না । তাদের জন্য আমার পরামর্শ হল আপনি ঘরের ভিতরে স্মল সাইজ এর অ্যাকুরিয়াম রাখতে পারেন । এক্ষেত্রে ছোট অ্যাকুরিয়াম বলতে ১২ ইঞ্চি লম্বা এবং ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি চওড়া অ্যাকুরিয়াম ধরা হল । অ্যাকুরিয়ামের উচ্চতা ৮ ইঞ্চি থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত করতে পারেন । অ্যাকুরিয়ামের উচ্চতা বেশী হলে অ্যাকুরিয়ামে জলের পরিমান বেশী ধরবে এবং তাতে মাছের সংখ্যা একটু বেশি রাখতে পারবেন । এখন দেখে নেওয়া যাক এই ছোট অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে আপনি কোন জাতের মাছ ভালো ভাবে রাখতে পারবেন । প্রথমেই বলি ছোট অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে বড় জাতের মাছ রাখা যাবে না । আপনাকে এমন জাতের মাছ বেছে নিতে হবে যারা কিনা সর্বচ্চ ১.৫ ইঞ্চির বেশি বড় হয় না । আপনি হয়তো মাছ কেনার সময় দেখলেন মাছগুলি ছোট কিন্তু সেগুলি হয়তো বড় জাতের মাছ , মাছের জাতের ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন । ছোট অ্যাকুরিয়ামে ছোট জাতের মাছ লিটার প্রতি ১ টি র বেশি রাখবেন না । যদি আপনার অ্যাকুরিয়ামে ১০ লিটার জল ধরে তাহলে ১০ টির বেশি মাছ রাখবেন না ,তাও যদি অ্যাকুরিয়ামে ফিল্ট্রেসান ব্যাবস্থা থাকে তবে

ডাফনিয়া (daphnia )

 যারা অ্যাকুরিয়ামের মাছ এর ডিম ফোটাতে চান বা যারা  অ্যাকুরিয়ামের মাছেরদের জ্যন্ত খাবার দিতে চান তাদের জন্য ডাফনিয়া খুব ভালো খাবার । খাদ্য হিসাবে ডাফনিয়া একটি উচ্চমানের  খাবার । এই খাবার খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায় । এই খাবার খুব ভালো প্রোটিন যুক্ত এবং সহজেই মাছের বাচ্চা বা বড় মাছ খেয়ে হজম করে নিতে পারে । অ্যাকুরিয়ামের মাছের পায়খানা কষে গেলে ( constipation ) হলে এই ডাফনিয়া খাওয়ালে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য ( constipation ) দূর হয় । এখন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এই ডাফনিয়া সহজেই এবং কম খরচে বাড়িতে তৈরি করে নেওয়া যায় ।  ডাফনিয়া তৈরি করতে হলে কম পক্ষে ৩০ লিটার জল ধরে এমন একটি মাটির বা কাঁচের পাত্র বা সিমেন্টের চৌবাচ্চা লাগবে , এবং জলের উচ্চতা থাকতে হবে অন্তত ১২ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার । ওই পাত্রে জল ভরে ইনফিউজোরিয়া তৈরি করার মতন জিসগুলি অর্থাৎ মিল্ক পাউডার , কলার খোসা , কিছু শাক সব্জি , খড় এবং পুকুরের জল দিতে হবে , তবে পরিমান ইনফিউজোরিয়া তৈরি করতে যতটা লাগে তার থেকে অনেক কম দিতে হবে । সব কিছু মিলিয়ে পরিমান হবে প্রতি  ২লিটার পিছু মাত্র ১ গ্রাম ।  পুকুরের জলের পরিমান দিতে  হবে ২ লিটার প্রতি ২ ম

ইনফিউজোরিয়া ( infusoria )

যারা অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা ফোটাতে চান তাদের কাছে ইনফিউজোরিয়া একটি খুব ভালো খাবার । এই ইনফিউজোরিয়া হল এক ধরনের খুবই ক্ষুদ্রাকার প্রানীকনা , যা কিনা এতই ছোট হয় যে খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না । যে সমস্ত মাছের বাচ্চা খুব ছোট সাইজের হয় , যারা ব্রাইন স্রীম্প এর বাচ্চা বা ডাফনিয়াও খেতে পারে না , তারা এই খাবার খুব সহজেই খেতে পারবে যেমন ফাইটার মাছের বাচ্চা , খুব ছোট জাতের টেট্রা মাছের বাচ্চা ইত্যাদি । এই খাবারের সব থেকে ভালো দিকটি হোল এই খাবার খুব সহজেই আপনি ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারবেন । এই খাবার তৈরি করার খরচ ও খুব কম এবং যে কোন মাছের বাচ্চাকে আপনি দিতে পারবেন । এই খাবারের ব্যাপারে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন তা হোল এই খাবার দেবার আগে খাবার শুঁখে দেখে নেবেন যেন খাবার থেকে খারাপ বা বদ গন্ধ আছে কিনা , যদি থাকে তাহলে ওই খাবার দেওয়া চলবে না ।  ইনফিউজোরিয়া তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম ঃ   এই খাবার আপনি যে কোন পাত্রে বানাতে পারেন , তা মাটির হোক বা কাঁচের বা প্লাস্টিকের । প্রতি ২ লিটার জল পিছু ২ চামচ মিল্ক পাউডার , একটি ছোট সাইজের পাকা কলার খোসা , অল্প কিছুটা খড় ( ওজনে ৫ থেকে ১০ গ্রাম ) , দু

ব্রাইন স্রীম্প এগ ( brain shrimp egg )

যারা মাছের বাচ্চা ফোটান তাদের কাছে ব্রাইন স্রীম্প এগ এর খুব কদর । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের জন্য এর থেকে ভালো এবং সেফ খাবার খুব কমই আছে । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা তোলা যতটা সহজ , ওই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো ততটাই কঠিন । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা আপনি অনেক পরিমানেই করতে পারবেন কিন্তু ওই বাচ্চাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে খাবার দেওয়া যায়  তার মধ্যে ব্রাইন স্রিম্প এগ বাদে  অন্যান্য খাবার যোগার করা কিন্তু খুবই কঠিন কাজ । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের জন্য যে সমস্ত খাবার গুলি প্রয়োজন হয় তার মধ্যে ব্রাইন স্রিম্প এগ অন্যতম ।  এই ব্রাইন স্রিম্প হাতের কাছে থাকা মানে মাছের বাচ্চাদের খাবার আপনার কাছে মজুত ।  এখন দেখে নেওয়া যাক ব্রাইন স্রিম্প এগ জিনিস টা কি ? এই খাবার কি ভাবে মাছ এর বাচ্চাদের খাওয়াতে হয় । ব্রাইন স্রিম্প এগ হল এক ধরনের চিংড়ি মাছের ডিম । এই ডিম মাছের বাচ্চাদের সরাসরি খাওয়ানো যায় না । এই চিংড়ি মাছের একটি বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা ফোটাতে হয় তারপর ঐ সদ্য ফোটা চিংড়ি মাছের বাচ্চা গুলি মাছের বাচ্চা দের খাওয়াতে হয় । এই চিংড়ি মাছের ডিম প্যাকিং করা কৌটাতে কিনতে পাওয়া যায় । বি

ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন কিভাবে করবেন ? ( aquarium fish maintenance )

এখন ঠাণ্ডা কমে গরমকাল আসতে  চলেছে , এই সময় আপনার সাধের মাছ গুলির জন্য একটু বেশী সতর্ক হতে হবে । আপনারা যারা মাছ ভালবাসেন তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ দিলাম , যদি এগুলি মেনে চলেন তাহলে আশাকরি আপনাদের আ্যকুরিয়ামের মাছ গুলি ভালো থাকবে । এই সময় যে বিষয় গুলি খেয়াল রাখবেন সেগুলি হল  ১) মাছের রোগ ঃ এই সময় বাতাসের তাপমাত্রার খুব বেশী পরিমানে ওঠাপড়া হয় , তাই এই সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছের অসুখও বেশী হয় । এই সময় মাছের যে রোগ গুলি বেশী হয় সেগুলি হল ১) ফাঙ্গাস এবং ২) ড্রপসি । এই সময় মাছের এই রোগ দুটি সম্বন্ধে বেশী করে খেয়াল রাখবেন । ২) তাপমাত্রা ঃ এই সময় বেশীর ভাগ লোক গরম পড়ে গেছে ভেবে অ্যাকুরিয়ামের হিটার বন্ধ করে দেয় । এটা করা মাছের জন্য খুবই ক্ষতিকারক । হটাত করে হিটার বন্ধ করে দিলে অ্যাকুরিয়ামের জলের তাপমাত্রা বেশি করে ওঠাপড়া করবে , কারন এই সময় রাতের দিকে বাতাসের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায় এবং দিনের বেলায় বাতাসের তাপমাত্রা  বেশ খানিকটা বেড়ে যায় । এই তাপমাত্রা ওঠাপড়ার জন্য মাছের রোগ সংক্রামণ বেশী হয় । বাতাসের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি ওঠার পরে আরো অন্তত ১৫ দিন পরে অ্যাকুরিয়ামের হিটার বন্ধ