Posts

ছোট অ্যাকুরিয়ামে কোন জাতের মাছ রাখা যায় ( fish keeping at small size aquarium )

অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে মাছ পুষতে চান কিন্তু জায়গার অভাবে ঘরের ভিতরে বড় অ্যাকুরিয়াম রাখতে পারেন না । তাদের জন্য আমার পরামর্শ হল আপনি ঘরের ভিতরে স্মল সাইজ এর অ্যাকুরিয়াম রাখতে পারেন । এক্ষেত্রে ছোট অ্যাকুরিয়াম বলতে ১২ ইঞ্চি লম্বা এবং ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি চওড়া অ্যাকুরিয়াম ধরা হল । অ্যাকুরিয়ামের উচ্চতা ৮ ইঞ্চি থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত করতে পারেন । অ্যাকুরিয়ামের উচ্চতা বেশী হলে অ্যাকুরিয়ামে জলের পরিমান বেশী ধরবে এবং তাতে মাছের সংখ্যা একটু বেশি রাখতে পারবেন । এখন দেখে নেওয়া যাক এই ছোট অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে আপনি কোন জাতের মাছ ভালো ভাবে রাখতে পারবেন । প্রথমেই বলি ছোট অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে বড় জাতের মাছ রাখা যাবে না । আপনাকে এমন জাতের মাছ বেছে নিতে হবে যারা কিনা সর্বচ্চ ১.৫ ইঞ্চির বেশি বড় হয় না । আপনি হয়তো মাছ কেনার সময় দেখলেন মাছগুলি ছোট কিন্তু সেগুলি হয়তো বড় জাতের মাছ , মাছের জাতের ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন । ছোট অ্যাকুরিয়ামে ছোট জাতের মাছ লিটার প্রতি ১ টি র বেশি রাখবেন না । যদি আপনার অ্যাকুরিয়ামে ১০ লিটার জল ধরে তাহলে ১০ টির বেশি মাছ রাখবেন না ,তাও যদি অ্যাকুরিয়ামে ফিল্ট্রেসান ব্যাবস্থা থাকে তবে ...

ডাফনিয়া (daphnia )

 যারা অ্যাকুরিয়ামের মাছ এর ডিম ফোটাতে চান বা যারা  অ্যাকুরিয়ামের মাছেরদের জ্যন্ত খাবার দিতে চান তাদের জন্য ডাফনিয়া খুব ভালো খাবার । খাদ্য হিসাবে ডাফনিয়া একটি উচ্চমানের  খাবার । এই খাবার খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায় । এই খাবার খুব ভালো প্রোটিন যুক্ত এবং সহজেই মাছের বাচ্চা বা বড় মাছ খেয়ে হজম করে নিতে পারে । অ্যাকুরিয়ামের মাছের পায়খানা কষে গেলে ( constipation ) হলে এই ডাফনিয়া খাওয়ালে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য ( constipation ) দূর হয় । এখন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এই ডাফনিয়া সহজেই এবং কম খরচে বাড়িতে তৈরি করে নেওয়া যায় ।  ডাফনিয়া তৈরি করতে হলে কম পক্ষে ৩০ লিটার জল ধরে এমন একটি মাটির বা কাঁচের পাত্র বা সিমেন্টের চৌবাচ্চা লাগবে , এবং জলের উচ্চতা থাকতে হবে অন্তত ১২ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার । ওই পাত্রে জল ভরে ইনফিউজোরিয়া তৈরি করার মতন জিসগুলি অর্থাৎ মিল্ক পাউডার , কলার খোসা , কিছু শাক সব্জি , খড় এবং পুকুরের জল দিতে হবে , তবে পরিমান ইনফিউজোরিয়া তৈরি করতে যতটা লাগে তার থেকে অনেক কম দিতে হবে । সব কিছু মিলিয়ে পরিমান হবে প্রতি  ২লিটার পিছু মাত্র ১ গ্রাম ।  পুকুরের জলের পরিমা...

ইনফিউজোরিয়া ( infusoria )

যারা অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা ফোটাতে চান তাদের কাছে ইনফিউজোরিয়া একটি খুব ভালো খাবার । এই ইনফিউজোরিয়া হল এক ধরনের খুবই ক্ষুদ্রাকার প্রানীকনা , যা কিনা এতই ছোট হয় যে খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না । যে সমস্ত মাছের বাচ্চা খুব ছোট সাইজের হয় , যারা ব্রাইন স্রীম্প এর বাচ্চা বা ডাফনিয়াও খেতে পারে না , তারা এই খাবার খুব সহজেই খেতে পারবে যেমন ফাইটার মাছের বাচ্চা , খুব ছোট জাতের টেট্রা মাছের বাচ্চা ইত্যাদি । এই খাবারের সব থেকে ভালো দিকটি হোল এই খাবার খুব সহজেই আপনি ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারবেন । এই খাবার তৈরি করার খরচ ও খুব কম এবং যে কোন মাছের বাচ্চাকে আপনি দিতে পারবেন । এই খাবারের ব্যাপারে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন তা হোল এই খাবার দেবার আগে খাবার শুঁখে দেখে নেবেন যেন খাবার থেকে খারাপ বা বদ গন্ধ আছে কিনা , যদি থাকে তাহলে ওই খাবার দেওয়া চলবে না ।  ইনফিউজোরিয়া তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম ঃ   এই খাবার আপনি যে কোন পাত্রে বানাতে পারেন , তা মাটির হোক বা কাঁচের বা প্লাস্টিকের । প্রতি ২ লিটার জল পিছু ২ চামচ মিল্ক পাউডার , একটি ছোট সাইজের পাকা কলার খোসা , অল্প কিছুটা খড় ( ওজনে ৫ থ...

ব্রাইন স্রীম্প এগ ( brain shrimp egg )

যারা মাছের বাচ্চা ফোটান তাদের কাছে ব্রাইন স্রীম্প এগ এর খুব কদর । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের জন্য এর থেকে ভালো এবং সেফ খাবার খুব কমই আছে । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা তোলা যতটা সহজ , ওই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো ততটাই কঠিন । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা আপনি অনেক পরিমানেই করতে পারবেন কিন্তু ওই বাচ্চাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে খাবার দেওয়া যায়  তার মধ্যে ব্রাইন স্রিম্প এগ বাদে  অন্যান্য খাবার যোগার করা কিন্তু খুবই কঠিন কাজ । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের জন্য যে সমস্ত খাবার গুলি প্রয়োজন হয় তার মধ্যে ব্রাইন স্রিম্প এগ অন্যতম ।  এই ব্রাইন স্রিম্প হাতের কাছে থাকা মানে মাছের বাচ্চাদের খাবার আপনার কাছে মজুত ।  এখন দেখে নেওয়া যাক ব্রাইন স্রিম্প এগ জিনিস টা কি ? এই খাবার কি ভাবে মাছ এর বাচ্চাদের খাওয়াতে হয় । ব্রাইন স্রিম্প এগ হল এক ধরনের চিংড়ি মাছের ডিম । এই ডিম মাছের বাচ্চাদের সরাসরি খাওয়ানো যায় না । এই চিংড়ি মাছের একটি বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা ফোটাতে হয় তারপর ঐ সদ্য ফোটা চিংড়ি মাছের বাচ্চা গুলি মাছের বাচ্চা দের খাওয়াতে হয় । এই চিংড়ি মাছের ডিম প্যাকিং করা কৌটাতে ক...

ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন কিভাবে করবেন ? ( aquarium fish maintenance )

এখন ঠাণ্ডা কমে গরমকাল আসতে  চলেছে , এই সময় আপনার সাধের মাছ গুলির জন্য একটু বেশী সতর্ক হতে হবে । আপনারা যারা মাছ ভালবাসেন তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ দিলাম , যদি এগুলি মেনে চলেন তাহলে আশাকরি আপনাদের আ্যকুরিয়ামের মাছ গুলি ভালো থাকবে । এই সময় যে বিষয় গুলি খেয়াল রাখবেন সেগুলি হল  ১) মাছের রোগ ঃ এই সময় বাতাসের তাপমাত্রার খুব বেশী পরিমানে ওঠাপড়া হয় , তাই এই সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছের অসুখও বেশী হয় । এই সময় মাছের যে রোগ গুলি বেশী হয় সেগুলি হল ১) ফাঙ্গাস এবং ২) ড্রপসি । এই সময় মাছের এই রোগ দুটি সম্বন্ধে বেশী করে খেয়াল রাখবেন । ২) তাপমাত্রা ঃ এই সময় বেশীর ভাগ লোক গরম পড়ে গেছে ভেবে অ্যাকুরিয়ামের হিটার বন্ধ করে দেয় । এটা করা মাছের জন্য খুবই ক্ষতিকারক । হটাত করে হিটার বন্ধ করে দিলে অ্যাকুরিয়ামের জলের তাপমাত্রা বেশি করে ওঠাপড়া করবে , কারন এই সময় রাতের দিকে বাতাসের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায় এবং দিনের বেলায় বাতাসের তাপমাত্রা  বেশ খানিকটা বেড়ে যায় । এই তাপমাত্রা ওঠাপড়ার জন্য মাছের রোগ সংক্রামণ বেশী হয় । বাতাসের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি ওঠার পরে আরো অন্তত ১৫ দিন পরে অ্যাকুরিয়া...

গোরামি মাছের বাচ্চা করার পদ্ধতি ( gourami breeding process )

Image
  অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের মধ্যে গোরামি জাতের মাছ খুবই জনপ্রিয় । এই মাছ বেশ কয়েকটি জাতের পাওয়া যায় ,যেমন ব্লূ গোরামি , থ্রী স্পট গোরামি , পার্ল গোরামি ইত্যাদি । আপনি বাড়িতে গোরামি মাছের বাচ্চা খুব সহজেই করতে পারেন ।      দেখে নেওয়া যাক গোরামি মাছের বাচ্চা করার জন্য কি  কি জিনিসের প্রয়োজন হয় । ১) ডিম পাড়ার উপযুক্ত একটি পেটে ডিম ভর্তি মেয়ে মাছ এবং একটি সুস্থ সবল প্রাপ্ত বয়েসের ছেলে মাছ । ২) ৩০ থেকে ৪০ লিটার জল ধরে এমন একটি অ্যাকুরিয়াম বা মাটির বা প্লাস্টিকের গামলা । ৩) একটি  খুব ভালো গুনমানের ৪ ইঞ্চি চওড়া ৮ ইঞ্চি লম্বা পলিথিন বা প্লাস্টিকের পাতলা টুকরো ।        সফল ভাবে গোরামি মাছের ডিম ফোটাতে হলে যে ব্যাপার গুলি খেয়াল রাখতে হবে সেগুলি হল ঃ  ১) যে জলে আপনি ডিম পাড়াতে চান সেই জলের টি ডি এস হতে হবে ১০০ থেকে ১৫০ ।     ২৫০ টি ডি এস পর্যন্ত জলেও এই মাছের ডিম ফোটানো যায় কিন্তু ১০০ থেকে ১৫০ টি ডি এস এর জলে এই মাছের ডিম যতটা ভালো ফুটবে এবং ডিম ফোটার পরে বাচ্চা ভালো থাকবে , ১৫০ টি ডি এস এর বেশি হলে ততটা ভা...

অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চার খাবার ( new born baby fish food )

অ্যাকুরিয়ামে রঙ্গিং মাছ আমরা অনেকেই পুষে থাকি । এই মাছ পুষতে গিয়ে অনেক সময়ই আমরা দেখতে পাই যে অ্যাকুরিয়ামের ভিতরে মাছের বাচ্চা হয়েছে । বেশীরভাগ সময়ই মাছের বাচ্চা গুলি কে খাবার দিতে না পারার কারনে বেশীর ভাগ বাচ্চাই মারা যায় । আবার অনেকে অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা করতে ভালোবাসেন কিন্তু সঠিক খাবার দিতে না পারার জন্য মাছের বাচ্চা বাঁচাতে পারেন না । আজ আমি আলোচনা করবো অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের কি কি খাবার খাওয়ানো যায় । তবে একথা মনে রাখবেন সব মাছের বাচ্চাকে সব ধরনের বাচ্চা মাছের খাবার খাওয়ানো যায় না , উচিত হবে যে মাছের বাচ্চাকে খাবার দেবেন সেই মাছের বাচ্চা কোন ধরনের খাবার খেতে ভালোবাসে বা কোন কোন খাবার খাওয়ালে মাছের বাচ্চা গুলি ভালো থাকবে তা জেনে নিয়ে খাবার দেওয়া ।        এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মাছের বাচ্চাদের জন্য খাবারের তালিকা ঃ  মাছের বাচ্চাদের যে সমস্ত খাবার গুলি দেওয়া যায় সেগুলি প্রধানত তিন ধরনের হয় । ১) ড্রাই ফুড , ২) লিকুইড ফুড , ৩) লাইভ বা জ্যান্ত খাবার ।     ১) ড্রাই ফুড ঃ অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের জন্য যে সমস্ত ড্রা...