Posts

ব্রাইন স্রীম্প এগ ( brain shrimp egg )

যারা মাছের বাচ্চা ফোটান তাদের কাছে ব্রাইন স্রীম্প এগ এর খুব কদর । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের জন্য এর থেকে ভালো এবং সেফ খাবার খুব কমই আছে । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা তোলা যতটা সহজ , ওই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো ততটাই কঠিন । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা আপনি অনেক পরিমানেই করতে পারবেন কিন্তু ওই বাচ্চাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে খাবার দেওয়া যায়  তার মধ্যে ব্রাইন স্রিম্প এগ বাদে  অন্যান্য খাবার যোগার করা কিন্তু খুবই কঠিন কাজ । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের জন্য যে সমস্ত খাবার গুলি প্রয়োজন হয় তার মধ্যে ব্রাইন স্রিম্প এগ অন্যতম ।  এই ব্রাইন স্রিম্প হাতের কাছে থাকা মানে মাছের বাচ্চাদের খাবার আপনার কাছে মজুত ।  এখন দেখে নেওয়া যাক ব্রাইন স্রিম্প এগ জিনিস টা কি ? এই খাবার কি ভাবে মাছ এর বাচ্চাদের খাওয়াতে হয় । ব্রাইন স্রিম্প এগ হল এক ধরনের চিংড়ি মাছের ডিম । এই ডিম মাছের বাচ্চাদের সরাসরি খাওয়ানো যায় না । এই চিংড়ি মাছের একটি বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা ফোটাতে হয় তারপর ঐ সদ্য ফোটা চিংড়ি মাছের বাচ্চা গুলি মাছের বাচ্চা দের খাওয়াতে হয় । এই চিংড়ি মাছের ডিম প্যাকিং করা কৌটাতে কিনতে পাওয়া যায় । বি

ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন কিভাবে করবেন ? ( aquarium fish maintenance )

এখন ঠাণ্ডা কমে গরমকাল আসতে  চলেছে , এই সময় আপনার সাধের মাছ গুলির জন্য একটু বেশী সতর্ক হতে হবে । আপনারা যারা মাছ ভালবাসেন তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ দিলাম , যদি এগুলি মেনে চলেন তাহলে আশাকরি আপনাদের আ্যকুরিয়ামের মাছ গুলি ভালো থাকবে । এই সময় যে বিষয় গুলি খেয়াল রাখবেন সেগুলি হল  ১) মাছের রোগ ঃ এই সময় বাতাসের তাপমাত্রার খুব বেশী পরিমানে ওঠাপড়া হয় , তাই এই সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছের অসুখও বেশী হয় । এই সময় মাছের যে রোগ গুলি বেশী হয় সেগুলি হল ১) ফাঙ্গাস এবং ২) ড্রপসি । এই সময় মাছের এই রোগ দুটি সম্বন্ধে বেশী করে খেয়াল রাখবেন । ২) তাপমাত্রা ঃ এই সময় বেশীর ভাগ লোক গরম পড়ে গেছে ভেবে অ্যাকুরিয়ামের হিটার বন্ধ করে দেয় । এটা করা মাছের জন্য খুবই ক্ষতিকারক । হটাত করে হিটার বন্ধ করে দিলে অ্যাকুরিয়ামের জলের তাপমাত্রা বেশি করে ওঠাপড়া করবে , কারন এই সময় রাতের দিকে বাতাসের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায় এবং দিনের বেলায় বাতাসের তাপমাত্রা  বেশ খানিকটা বেড়ে যায় । এই তাপমাত্রা ওঠাপড়ার জন্য মাছের রোগ সংক্রামণ বেশী হয় । বাতাসের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি ওঠার পরে আরো অন্তত ১৫ দিন পরে অ্যাকুরিয়ামের হিটার বন্ধ

গোরামি মাছের বাচ্চা করার পদ্ধতি ( gourami breeding process )

Image
  অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের মধ্যে গোরামি জাতের মাছ খুবই জনপ্রিয় । এই মাছ বেশ কয়েকটি জাতের পাওয়া যায় ,যেমন ব্লূ গোরামি , থ্রী স্পট গোরামি , পার্ল গোরামি ইত্যাদি । আপনি বাড়িতে গোরামি মাছের বাচ্চা খুব সহজেই করতে পারেন ।      দেখে নেওয়া যাক গোরামি মাছের বাচ্চা করার জন্য কি  কি জিনিসের প্রয়োজন হয় । ১) ডিম পাড়ার উপযুক্ত একটি পেটে ডিম ভর্তি মেয়ে মাছ এবং একটি সুস্থ সবল প্রাপ্ত বয়েসের ছেলে মাছ । ২) ৩০ থেকে ৪০ লিটার জল ধরে এমন একটি অ্যাকুরিয়াম বা মাটির বা প্লাস্টিকের গামলা । ৩) একটি  খুব ভালো গুনমানের ৪ ইঞ্চি চওড়া ৮ ইঞ্চি লম্বা পলিথিন বা প্লাস্টিকের পাতলা টুকরো ।        সফল ভাবে গোরামি মাছের ডিম ফোটাতে হলে যে ব্যাপার গুলি খেয়াল রাখতে হবে সেগুলি হল ঃ  ১) যে জলে আপনি ডিম পাড়াতে চান সেই জলের টি ডি এস হতে হবে ১০০ থেকে ১৫০ ।     ২৫০ টি ডি এস পর্যন্ত জলেও এই মাছের ডিম ফোটানো যায় কিন্তু ১০০ থেকে ১৫০ টি ডি এস এর জলে এই মাছের ডিম যতটা ভালো ফুটবে এবং ডিম ফোটার পরে বাচ্চা ভালো থাকবে , ১৫০ টি ডি এস এর বেশি হলে ততটা ভালো হবে না । এই মাছের ডিম ফোটাতে হলে একটি একটি টি ডি এস মিটার দিয়ে জলের টি ডি এস

অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চার খাবার ( new born baby fish food )

অ্যাকুরিয়ামে রঙ্গিং মাছ আমরা অনেকেই পুষে থাকি । এই মাছ পুষতে গিয়ে অনেক সময়ই আমরা দেখতে পাই যে অ্যাকুরিয়ামের ভিতরে মাছের বাচ্চা হয়েছে । বেশীরভাগ সময়ই মাছের বাচ্চা গুলি কে খাবার দিতে না পারার কারনে বেশীর ভাগ বাচ্চাই মারা যায় । আবার অনেকে অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা করতে ভালোবাসেন কিন্তু সঠিক খাবার দিতে না পারার জন্য মাছের বাচ্চা বাঁচাতে পারেন না । আজ আমি আলোচনা করবো অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের কি কি খাবার খাওয়ানো যায় । তবে একথা মনে রাখবেন সব মাছের বাচ্চাকে সব ধরনের বাচ্চা মাছের খাবার খাওয়ানো যায় না , উচিত হবে যে মাছের বাচ্চাকে খাবার দেবেন সেই মাছের বাচ্চা কোন ধরনের খাবার খেতে ভালোবাসে বা কোন কোন খাবার খাওয়ালে মাছের বাচ্চা গুলি ভালো থাকবে তা জেনে নিয়ে খাবার দেওয়া ।        এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মাছের বাচ্চাদের জন্য খাবারের তালিকা ঃ  মাছের বাচ্চাদের যে সমস্ত খাবার গুলি দেওয়া যায় সেগুলি প্রধানত তিন ধরনের হয় । ১) ড্রাই ফুড , ২) লিকুইড ফুড , ৩) লাইভ বা জ্যান্ত খাবার ।     ১) ড্রাই ফুড ঃ অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের জন্য যে সমস্ত ড্রাই ফুড পাওয়া যায় , সেগুলিই গুঁড়ো করে মাছের বাচ্চাদের দে

মাছ কি খেতে ভালো বাসে / অ্যাকুরিয়ামের মাছ কি ধরনের খাবার সব থেকে পছন্দ করে ( aquarium fish food ) ?

মাছ কি কি খাবার খায় ? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার থেকে , বোধহয় অনেক সহজ কাজ হোল মাছ কি কি খায় না , সেটা বলা , কারন  মাছ বিষাক্ত কোন খাবার ছাড়া সব খাবারই খায় । মাছ প্রকৃতিগত ভাবে সহজেই বিষাক্ত খাবার চিহ্নিত করে নিতে পারে । সহজে যে খাবার খাওয়া সম্ভব , মাছেরা সেই খাবার তো খায়ই আবার যে সমস্ত খাবার তাৎক্ষনিক খাওয়া যায় না সেই সব খাবার গুলি খাবার অবস্থায় এলেই মাছ তা খেতে শুরু করে দেয় । সব ধরনের মাছের খাবারের আলোচনা অনেক সময় সাপেক্ষ , তাই এখন আলোচনা করবো অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে মাছেদের কি কি খাবার দেওয়া যায় বা অ্যাকুরিয়ামের মাছ কি কি খাবার খেতে ভালোবাসে ।            অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের খেতে দিতে গিয়ে আমরা সব থেকে বেশি যে সমস্যায় পড়ি তা হল অ্যাকুরিয়ামের জল ঘোলা হয়ে যাওয়া , আর আমরা জানি যে অ্যাকুরিয়ামের জল ঘোলা হওয়া মানেই মাছ মারা যাবার সূত্রপাত । যারা অনেক দিন ধরে অ্যাকুরিয়ামে মাছ পুষে চলেছেন , তাদের মতে কেউ বলেন অ্যাকুরিয়ামে জ্যান্ত খাবার দিতে আবার কেউ বলেন ড্রাই ফুড ব্যাবহার করলে অ্যাকুরিয়ামের জল কম ঘোলা হয় । বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম মত শুনে যারা নতুন অ্যাকুরিয়াম করে মাছ পোষা শুরু করেছেন , তা

সহজে ক্রোকো ডাইল মাছের বাচ্চা করার পদ্ধতি ( how to breed sucker mouth cat fish ) ?

আপনার সাধের অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ পরিস্কার রাখা এবং জল ভালো রাখার জন্য সাকার মাউথ ক্যাট ফিশ একটি কার্যকরি ভুমিকা নিয়ে থাকে , এই জাতের মাছটি বন্দি অর্থাৎ ক্যপ্টিভেটেড অবস্থায় ডিম পাড়ে না ,  অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে বা  সিমেন্টের চৌবাচ্চার মধ্যে এই মাছের বাচ্চা করা সম্ভব নয় , এই মাছের বাচ্চা করতে হলে বড় সাইজের মাটির চৌবাচ্চা বা পুকুর সব থেকে ভালো । পুকুরের জলের গভীরতা হতে হবে কমপক্ষে ৪ ফুট বা ১২০ সেন্টিমিটার , জলের গভীরতা ১০ ফুটের বেশী অর্থাৎ ৩০০ সেন্টিমিটারের বেশী না হওয়াই ভালো । পুকুরে এই জাতের মাছ ছাড়া অন্য কোন জাতের মাছ থাকলে মাছের বাচ্চা কম পরিমানে পাওয়া যাবে কারন অন্য জাতের মাছ একসঙ্গে থাকলে মাছের ডিম খেয়ে নেবার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত থেকে যাবে ।        যদি আপনি মাটির চৌবাচ্চায় এই মাছের ডিম পাড়াতে চান তাহলে , তাহলে জলের গভীরতা রাখবেন পুকুরের মতই , লম্বায় হবে কমপক্ষে ৩০ ফুট এবং চওড়ায় হতে হবে অন্তত ১০ ফুট ।        পুকুরে বা মাটির চৌবাচ্চায় যেখানেই এই মাছের ডিম পাড়ান না কেন , কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ।     ১) জলের বিভিন্ন গভীরতায়  বেশ বড় সাইজের মাটির পাত্র বা মালসা ,  বেশ কয়েকটি ভা

গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে কি কি মাছ রাখা যায় ? compatible with gold fish .

Image
অ্যাকুরিয়ামে শুধু গোল্ড ফিশ মাছ রাখলেও দেখতে খুবই সুন্দর লাগে , তবু মাঝে মধ্যে ইচ্ছা হতে পারে গোল্ড মাছের সঙ্গে অন্য কোন জাতের মাছ রাখতে । গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে সব জাতের মাছ রাখা যায় না । যে সমস্ত জাতের মাছ গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে রাখা উচিত নয় সেই সব মাছ গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে রাখলে গোল্ড ফিশ মাছ মারা যাবে । তাই জেনে নিন কোন কোন জাতের মাছ গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে ভালো ভাবে রাখা যায় ।                      গোল্ড ফিশ মাছই অনেক প্রজাতির পাওয়া যায় , এর মধ্যে সব জাতের গোল্ড ফিশ আবার এক সঙ্গে রাখা উচিত নয় । অ্যাকুরিয়ামে যদি আপনি টেলিস্কোপ আই প্রজাতির গোল্ড ফিশ রাখেন , অর্থাৎ যে প্রজাতির গোল্ড ফিশ মাছের চোখ বাইরের দিকে ঠেলে বেরিয়ে থাকে এবং বাবল আই গোল্ড ফিশ মাছ রাখেন , সেখানে রেড গোল্ড ফিশ , রুইকিন গোল্ড ফিশ বা সুভাঙ্কিং গোল্ড ফিশ মাছ না রাখাই ভালো । অনেক সময় দেখা যায় রেড গোল্ড ফিশ , রুইকিন গোল্ড ফিশ বা সুভাঙ্কিং গোল্ড ফিশ  টেলিস্কোপ আই গোল্ড ফিশ এবং বাবল আই গোল্ড ফিশ  জাতের মাছের বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকা চোখ খুবলে নেয় বা ঠুকরে নষ্ট করে দেয় । তাই অ্যাকুরিয়ামে শুধু গোল্ড ফিশ জাতের মাছ রাখলেও সঠিক