Posts

অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চার খাবার ( new born baby fish food )

অ্যাকুরিয়ামে রঙ্গিং মাছ আমরা অনেকেই পুষে থাকি । এই মাছ পুষতে গিয়ে অনেক সময়ই আমরা দেখতে পাই যে অ্যাকুরিয়ামের ভিতরে মাছের বাচ্চা হয়েছে । বেশীরভাগ সময়ই মাছের বাচ্চা গুলি কে খাবার দিতে না পারার কারনে বেশীর ভাগ বাচ্চাই মারা যায় । আবার অনেকে অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা করতে ভালোবাসেন কিন্তু সঠিক খাবার দিতে না পারার জন্য মাছের বাচ্চা বাঁচাতে পারেন না । আজ আমি আলোচনা করবো অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চাদের কি কি খাবার খাওয়ানো যায় । তবে একথা মনে রাখবেন সব মাছের বাচ্চাকে সব ধরনের বাচ্চা মাছের খাবার খাওয়ানো যায় না , উচিত হবে যে মাছের বাচ্চাকে খাবার দেবেন সেই মাছের বাচ্চা কোন ধরনের খাবার খেতে ভালোবাসে বা কোন কোন খাবার খাওয়ালে মাছের বাচ্চা গুলি ভালো থাকবে তা জেনে নিয়ে খাবার দেওয়া ।        এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মাছের বাচ্চাদের জন্য খাবারের তালিকা ঃ  মাছের বাচ্চাদের যে সমস্ত খাবার গুলি দেওয়া যায় সেগুলি প্রধানত তিন ধরনের হয় । ১) ড্রাই ফুড , ২) লিকুইড ফুড , ৩) লাইভ বা জ্যান্ত খাবার ।     ১) ড্রাই ফুড ঃ অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের জন্য যে সমস্ত ড্রাই ফুড পাওয়া যায় , সেগুলিই গুঁড়ো করে মাছের বাচ্চাদের দে

মাছ কি খেতে ভালো বাসে / অ্যাকুরিয়ামের মাছ কি ধরনের খাবার সব থেকে পছন্দ করে ( aquarium fish food ) ?

মাছ কি কি খাবার খায় ? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার থেকে , বোধহয় অনেক সহজ কাজ হোল মাছ কি কি খায় না , সেটা বলা , কারন  মাছ বিষাক্ত কোন খাবার ছাড়া সব খাবারই খায় । মাছ প্রকৃতিগত ভাবে সহজেই বিষাক্ত খাবার চিহ্নিত করে নিতে পারে । সহজে যে খাবার খাওয়া সম্ভব , মাছেরা সেই খাবার তো খায়ই আবার যে সমস্ত খাবার তাৎক্ষনিক খাওয়া যায় না সেই সব খাবার গুলি খাবার অবস্থায় এলেই মাছ তা খেতে শুরু করে দেয় । সব ধরনের মাছের খাবারের আলোচনা অনেক সময় সাপেক্ষ , তাই এখন আলোচনা করবো অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে মাছেদের কি কি খাবার দেওয়া যায় বা অ্যাকুরিয়ামের মাছ কি কি খাবার খেতে ভালোবাসে ।            অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের খেতে দিতে গিয়ে আমরা সব থেকে বেশি যে সমস্যায় পড়ি তা হল অ্যাকুরিয়ামের জল ঘোলা হয়ে যাওয়া , আর আমরা জানি যে অ্যাকুরিয়ামের জল ঘোলা হওয়া মানেই মাছ মারা যাবার সূত্রপাত । যারা অনেক দিন ধরে অ্যাকুরিয়ামে মাছ পুষে চলেছেন , তাদের মতে কেউ বলেন অ্যাকুরিয়ামে জ্যান্ত খাবার দিতে আবার কেউ বলেন ড্রাই ফুড ব্যাবহার করলে অ্যাকুরিয়ামের জল কম ঘোলা হয় । বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম মত শুনে যারা নতুন অ্যাকুরিয়াম করে মাছ পোষা শুরু করেছেন , তা

সহজে ক্রোকো ডাইল মাছের বাচ্চা করার পদ্ধতি ( how to breed sucker mouth cat fish ) ?

আপনার সাধের অ্যাকুরিয়ামের কাঁচ পরিস্কার রাখা এবং জল ভালো রাখার জন্য সাকার মাউথ ক্যাট ফিশ একটি কার্যকরি ভুমিকা নিয়ে থাকে , এই জাতের মাছটি বন্দি অর্থাৎ ক্যপ্টিভেটেড অবস্থায় ডিম পাড়ে না ,  অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে বা  সিমেন্টের চৌবাচ্চার মধ্যে এই মাছের বাচ্চা করা সম্ভব নয় , এই মাছের বাচ্চা করতে হলে বড় সাইজের মাটির চৌবাচ্চা বা পুকুর সব থেকে ভালো । পুকুরের জলের গভীরতা হতে হবে কমপক্ষে ৪ ফুট বা ১২০ সেন্টিমিটার , জলের গভীরতা ১০ ফুটের বেশী অর্থাৎ ৩০০ সেন্টিমিটারের বেশী না হওয়াই ভালো । পুকুরে এই জাতের মাছ ছাড়া অন্য কোন জাতের মাছ থাকলে মাছের বাচ্চা কম পরিমানে পাওয়া যাবে কারন অন্য জাতের মাছ একসঙ্গে থাকলে মাছের ডিম খেয়ে নেবার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত থেকে যাবে ।        যদি আপনি মাটির চৌবাচ্চায় এই মাছের ডিম পাড়াতে চান তাহলে , তাহলে জলের গভীরতা রাখবেন পুকুরের মতই , লম্বায় হবে কমপক্ষে ৩০ ফুট এবং চওড়ায় হতে হবে অন্তত ১০ ফুট ।        পুকুরে বা মাটির চৌবাচ্চায় যেখানেই এই মাছের ডিম পাড়ান না কেন , কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ।     ১) জলের বিভিন্ন গভীরতায়  বেশ বড় সাইজের মাটির পাত্র বা মালসা ,  বেশ কয়েকটি ভা

গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে কি কি মাছ রাখা যায় ? compatible with gold fish .

Image
অ্যাকুরিয়ামে শুধু গোল্ড ফিশ মাছ রাখলেও দেখতে খুবই সুন্দর লাগে , তবু মাঝে মধ্যে ইচ্ছা হতে পারে গোল্ড মাছের সঙ্গে অন্য কোন জাতের মাছ রাখতে । গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে সব জাতের মাছ রাখা যায় না । যে সমস্ত জাতের মাছ গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে রাখা উচিত নয় সেই সব মাছ গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে রাখলে গোল্ড ফিশ মাছ মারা যাবে । তাই জেনে নিন কোন কোন জাতের মাছ গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে ভালো ভাবে রাখা যায় ।                      গোল্ড ফিশ মাছই অনেক প্রজাতির পাওয়া যায় , এর মধ্যে সব জাতের গোল্ড ফিশ আবার এক সঙ্গে রাখা উচিত নয় । অ্যাকুরিয়ামে যদি আপনি টেলিস্কোপ আই প্রজাতির গোল্ড ফিশ রাখেন , অর্থাৎ যে প্রজাতির গোল্ড ফিশ মাছের চোখ বাইরের দিকে ঠেলে বেরিয়ে থাকে এবং বাবল আই গোল্ড ফিশ মাছ রাখেন , সেখানে রেড গোল্ড ফিশ , রুইকিন গোল্ড ফিশ বা সুভাঙ্কিং গোল্ড ফিশ মাছ না রাখাই ভালো । অনেক সময় দেখা যায় রেড গোল্ড ফিশ , রুইকিন গোল্ড ফিশ বা সুভাঙ্কিং গোল্ড ফিশ  টেলিস্কোপ আই গোল্ড ফিশ এবং বাবল আই গোল্ড ফিশ  জাতের মাছের বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকা চোখ খুবলে নেয় বা ঠুকরে নষ্ট করে দেয় । তাই অ্যাকুরিয়ামে শুধু গোল্ড ফিশ জাতের মাছ রাখলেও সঠিক

মলি মাছের সঙ্গে কি কি মাছ রাখা যায় ? compatible with molly fish

Image
অনেকেই জানতে চান যে মলি মাছের সঙ্গে কি কি মাছ রাখা যায় ? পৃথিবীতে এত রকমের মলি মাছ পাওয়া যায় যে , আমার মনে হয় শুধু মলি মাছ দিয়েই সহজেই একটি অ্যাকুরিয়াম সাজিয়ে ফেলা সম্ভব । এত রকমের রঙ এর মাছ আর কোন প্রজাতির মধ্যে বোধ হয় আর দেখতে পাওয়া যায় না ।              যারা অ্যাকুরিয়ামে শুধু মলি জাতের মাছ না রেখে , মলি মাছের সঙ্গে অন্যান্য প্রজাতির মাছ রাখতে চান , তাদের জন্য নিচে একটি মাছের তালিকা দিলাম , যে মাছ গুলি আপনি সহজেই আপনার মলি মাছের সঙ্গে রাখতে পারবেন । ১) প্লাটি জাতের মাছ  ২) সোর্ড টেল জাতের মাছ  ৩) গোরামি জাতের মাছ  ৪) বার্ব জাতের মাছ  ৫) ক্যাট ফিশ জাতের মাছ  ৬) লোচ জাতের মাছ  ৭) এক দম ছোট জাতের টেট্রা ছাড়া যে কোন টেট্রা জাতের মাছ । ৮) রেইনবো জাতের মাছ । ৯) মোনো অ্যাঞ্জেল । ১০) আরগাস । ১১) ফেদার ফিন । ১২) সার্ক জাতের মাছ ।

অ্যাকুরিয়ামে জ্যান্ত গাছ পচে যায় কেন ?

Image
অ্যাকুরিয়ামে যারা মাছ পোষেন তাদের কাছে অ্যাকুরিয়ামের ভিতরে জ্যান্ত গাছ পচে যাওয়াটা একটি মস্ত বড় সমস্যা । আমি আমার অন্য লেখাতে লিখেছিলাম , যে অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে জ্যান্ত গাছ রাখাটা কতটা জরুরী । অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে জ্যান্ত গাছ থাকলে মাছের নানাবিধ সুবিধা হয় । অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছেন যে , অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে জ্যান্ত গাছ লাগাবার কিছুদিনের মধ্যেই গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে এবং গাছ পচে যাচ্ছে কেন ? তাদের জন্য এই লেখা । ভালো করে জেনে নিন অ্যাকুরিয়ামের মধ্যেকার জ্যান্ত গাছ গুলি পচে যাবার কারনগুলি । ১) অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে জ্যান্ত গাছ ভালো রাখতে হলে  অ্যাকুরিয়ামের নিচে যে গ্র্যাভেলস বেড , স্যান্ড বেড , অ্যাকুরিয়াম সয়েল বেড বা মিক্সড বেড যাই ব্যাবহার করুননা কেন , সেই বেড যেন কমপক্ষে ১.৫ ইঞ্চি মোটা হয় । এর থেকে পাতলা বেড দিলে  গাছের শক্ত হয়ে বসতে অসুবিধা হয় । জ্যান্ত গাছ শক্ত হয়ে স্থির হয়ে বসতে না পারলে গাছ নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায় । ২) অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে অ্যামোনিয়া বা নাইট্রোজেনের পরিমান বেড়ে গেলে গাছ পচে যেতে পারে ।  ৩) উপযুক্ত আলোর অভাবে গাছ পচে যেতে পারে । জ্যান্ত

অ্যাকুরিয়ামের মাছের অসুখ ( aquarium fish diseases)

অ্যাকুরিয়ামে মাছ পুষতে গিয়ে যে সমস্যার মুখে আমাদের সব থেকে বেশী পড়তে হয় , তা হল মাছ এর অসুখ করে মাছ মারা যাওয়া । মাছ মারা যাবার প্রধান কারন হল , মাছের কি অসুখ করেছে তা সঠিক ভাবে বুঝতে না পারা । বেশির ভাগ মানুষ যখন দেখেন যে অ্যাকুরিয়ামের মাছ মারা যাচ্ছে , তখন কোন অ্যাকুরিয়ামের দোকান থেকে মন মতন যে কোন একটি ওষুধ কিনে এনে অ্যাকুরিয়ামে দিয়ে দেন । কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাকুরিয়ামের মাছ গুলি বাঁচাতে সফল হন না । অনেকে আবার অ্যাকুরিয়ামের জলে অ্যান্টি বায়োটিক ওষুধ ব্যাবহার করে থাকেন , এতে হয়তো অনেক সময় কিছুটা সফল হলেও অ্যাকুরিয়ামের জলে অ্যান্টি বায়োটিক ওষুধ ব্যাবহার করা হলে এর পরিনাম ভয়ঙ্কর হতে পারে , এক জন মাইক্রো বায়োলজিস্ট এর পক্ষেই বোঝা সম্ভব অ্যাকুরিয়ামের জলে অ্যান্টি বায়োটিক ব্যাবহার করলে, কি মারাত্মক পরিনাম হতে পারে । আমি শুধু এক কথায় বলতে পারি অ্যাকুরিয়ামে অ্যান্টি বায়টিক ওষুধ ব্যাবহার করলে অ্যাকুরিয়ামের সাথে সাথে আপনার বাড়ির মধ্যে থাকা প্রতিটি মানুষ সহ সকল জীব জন্তুর শারীরিক ক্ষতি যেচে ডেকে আনবেন । তবে অনেক সময় মাছের অসুখ ভালো করার জন্য অ্যান্টি বায়োটিক ব্যাবহার করতে হয় , সে ক্ষ