Posts

গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে কি কার্প জাতের মাছ রাখা যায়

Image
বেশীর ভাগ মানুষ ই গোল্ড ফিশ এবং কার্প জাতের মাছের তফাৎ করতে পারেন না , কার্প জাতের মাছকে গোল্ড ফিশ জাতের মাছের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন । বেশীর ভাগ মানুষ কার্প জাতের মাছ কে গোল্ড ফিশ জাতের মাছ মনে করে কিনে আনেন । আমার কাছে অনেকেই জানতে চান যে , কার্প জাতের মাছ এবং গোল্ড ফিশ জাতের মাছ এক সঙ্গে অ্যাকুরিয়ামে রাখা যায় কি না ?           আমি আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এই দুই প্রজাতির মাছ কিছু কিছু সময় একসঙ্গে রাখা যায় আবার অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধা জনক হয়ে ওঠে । এর প্রধান কারন হল কার্প মাছ গোল্ড ফিশের থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী হয় এবং কার্প মাছের বৃদ্ধি গোল্ড ফিশের থেকে অনেক তাড়া তাড়ি হয় । তাই আপনি যদি আপনার অ্যাকুরিয়ামে কার্প জাতের মাছ এবং গোল্ড ফিশ জাতের মাছ সমান  সাইজেরও ছাড়েন , তা হলেও কিছুদিন পরে দেখবেন যে কার্প জাতের মাছ গুলি গোল্ড ফিশ জাতের মাছ গুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি বড় হয়ে গেছে । আমরা জানি যে অ্যাকুরিয়ামে রাখা মাছ গুলির মধ্যে যদি সাইজের সমতা না থাকে তাহলে অ্যাকুরিয়ামের বড় মাছ গুলি খাবার বেশি খেয়ে নেবে , তুলনায় ছোট সাইজের মাছ গুলি খাবার পরিমান মতন না পেয়ে মারা যাবে । আপনি হয়ত ভাবতে পা

মলি মাছের সঙ্গে কি কি মাছ রাখা যায় ( compatible with molly fish ) ?

অ্যাকুরিয়ামের মাছের জগতে একটি জনপ্রিয় মাছ হল মলি মাছ । এই মাছ এত রঙের এবং এত ধরনের পাওয়া যায় যে , শুধু বিভিন্ন রঙের মলি মাছ দিয়েই অ্যাকুরিয়াম সাজানো হয়ে যায় । তবে অনেকে চান মলি মাছের সঙ্গে আরো অন্য ধরনের কিছু মাছ রাখতে । মলি মাছের সঙ্গে যে সমস্ত মাছ গুলি ভালো ভাবে রাখা যায় , তাদের নাম গুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক । ১) টাইগার বার্ব , অ্যালবিনো টাইগার বার্ব , গ্রীন টাইগার বার্ব ,  ২) রেড রোসি বার্ব , গ্রীন রোসি বার্ব , ৩) সুমার্টি বার্ব ,  রুবি বার্ব ,  ৪) টিন ফয়েল বার্ব , অ্যালবিনো টিন ফয়েল বার্ব , ৫) উইডো টেট্রা , রেড আই টেট্রা , বুয়েনার্স টেট্রা , অ্যালবিনো বুয়েনার্স টেট্রা , সারপে টেট্রা ,  ৬) রেড প্লাটি , মিকি মাউস প্লাটি , ওয়াগ টেল প্লাটি , মুন প্লাটি , সান সেট প্লাটি , ভেরিয়েটাস প্লাটি , হাই ফিন প্লাটি ,  ৭)রেড সোর্ড টেল , ওয়াগ টেল সোর্ড টেল , ট্যাঞ্জারিন সোর্ড টেল , ব্ল্যাক সোর্ড টেল , পাইনাপেল সোর্ড টেল , গ্রীন সোর্ড টেল , ইত্যাদি । ৮) রেডটেল সার্ক , রেইনবো সার্ক , অ্যালবিনো রেইনবো সার্ক , সিল্ভার সার্ক । ৯) থ্রী স্পট গোরামি , কসবি গোরামি ,  গো

অক্সিজেন ছাড়া কি কি মাছ বাঁচে ( fish without oxigen )

Image
পৃথিবীতে অক্সেজেন ছাড়া কোন প্রানীই বেঁচে থাকতে পারে না , মাছ ও এর অন্যথা নয় । মাছেরও বেঁচে থাকতে তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের দরকার হয় । অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন অক্সিজেন ছাড়া কি কি মাছ থাকে? অনেকে তার উত্তরও দেয়  । কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক কথা নয় যে অক্সিজেন ছাড়া মাছ বেঁচে থাকতে পারে । আসুন আসল ব্যাপারটা কি তা জেনে নেওয়া যাক ।                মাছেরা অক্সিজেন দুই ভাবে নিয়ে থাকে । প্রথমত মাছ তার নিজের ফুল্কোর ( gills ) সাহায্যে জলের ভিতর থেকে জলের দ্রবীভূত অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে , এবং দ্বিতীয়ত জলের উপরের বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিয়ে থাকে ।                    বেশীরভাগ মাছ জল থেকেই নিজেদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নেয় এবং খুব প্রয়োজন হলে জলের উপর থেকে সরাসরি বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে ঘাটতি মিটিয়ে নেয় । একথা অবশ্যই মনে রাখবেন যে মাছ জলের দ্রবীভূত অক্সিজেন নেয় সেই মাছ জলের বাইরে থেকে অক্সিজেন নিতে পারলেও তার পরিমান খুব সামান্য । এই ধরনের মাছের বেঁচে থাকতে হলে জলের দ্রবীভূত অক্সিজেন অবশ্যই দরকার । যে সমস্ত মাছেরা জলের ভিতর থেকে অক্সিজেন নিয়ে থাকে সেই মাছ গুলিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়  , প্রথম

কিসিং মাছ কিস করে কেন ( kissing gouramies kissing behaviour indicate )

কিসিং গোরামি , নামেই বোঝা যায় এই গোরামি কিস করে । গোরামি জাতের মাছেদের মধ্যে এক মাত্র এই মাছটিই কিস করে বলে এই মাছের নামই হয়ে গেছে কিসিং গোরামি । অনেকেই আছেন যারা শুধু  মাত্র মাছের কিস করা দেখার জন্যই এই মাছ অ্যাকুরিয়ামে পুষে থাকেন কিন্তু  মাছ নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ করেন  যে  , এই মাছ   দীর্ঘদিন ধরে অ্যাকুরিয়ামে  আছে কিন্তু কিস করছে না ।  দীর্ঘদিন ধরে অ্যাকুরিয়ামে কিসিং গোরামি রাখার পরেও যখন তারা দেখেন যে এই মাছ কিস করছে না , তারা ভেবে বসেন মাছ দুটির মধ্যে হয়তো  দুটি মাছই ছেলে মাছ বা মেয়ে মাছ হয়ে গেছে  , তাই হয়তো কিস করছে না ।         প্রথমে দেখে নেওয়া যাক  কিসিং গোরামি কখন কিস করে  বা কেন কিস করে ? কিসি ং গোরামি  বিভিন্ন কারনে নিজেদের মধ্যে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে অল্প থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কিস করে থাকে । এই  কিস করার সময় কাল ২০/ ৩০ সেকেন্ড থেকে ৮ / ১০ মিনিট পর্যন্ত হতে দেখেছি । ১ ) কিসিং গোরামি মাছ নিজেদের মধ্যে শক্তি পরীক্ষা করে । দুটি মাছ ঠোঁটে লাগিয়ে এক জন অন্য জনের দিকে ঠেলতে থাকে , এই ভাবে বার বার  দুটি  কিসিং গোরামি  মাছ লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে যতক্ষন না দুর্বল মাছ টি পালিয়ে যা

মিষ্টি জল ( fresh water )

জলের অপর নাম জীবন একথা সকলেই জানেন । জল ছাড়া কোন প্রানিই বেঁচে থাকতে পারে না । অ্যাকুরিয়ামের মাছ ও এর অন্যথা নয় । অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের প্রথমেই ৩ টি ভাগে ভাগ করা যায়   । ১ম ভাগ হল যারা মিষ্টি জলের মাছ , ২য় ভাগ হল যারা নোনা জলে অর্থাৎ সমুদ্রের জলে থাকে , ৩য় ভাগে আছে সেই সমস্ত মাছ গুলি যারা এমন জলে থাকে যেটা একেবারে মিষ্টিও নয় আবার পুরো পুরি নোনতাও নয় । আজ এখানে আলোচনা করবো মিষ্টি জল নিয়ে । ১)    মিষ্টি জল বা মিঠে জল ঃ                                                                                                 পৃথিবীতে নদী , ঝর্না , হ্রদ ( নোনা জলের হ্রদ বাদে ) খাল , বিল , পুকুর , দীঘি , এছাড়া মাটির তলার জল অর্থাৎ   মাটি খুঁড়ে বা নল কূপের মাধ্যমে যে জল পাওয়া যায় এবং বৃষ্টির জল হল মিষ্টি জলের ভাণ্ডার । এই মিষ্টি জল কে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায় , ১ম টি হল সফট জল অর্থাৎ যে জলের হার্ড নেস ০ থেকে ১০০ মিলি গ্রাম / লিটার । ২য় প্রকার হল হার্ড জল অর্থাৎ যে জলের হার্ড নেস ১০১ থেকে ২৫০ মিলি গ্রাম / লিটার এবং এর থেকেও বেশি । এই হার্ড জলকেও আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায় , মৃদু হার্ড

দোলের দিন মাছের যত্ন

দোলের দিন আমাদের কাছে খুব আনন্দের দিন , কিন্তু জেনে রাখবেন ঐ দিন মানুষ ছাড়া যে কোন প্রাণীর কাছেই আতঙ্কের হয়ে উঠতে পারে , আমাদের সামান্য অসতর্কতার কারনে , যেমন কোন পশু , পাখি , গাছ প্রভৃতির গায়ে রং বা আবীর দিলে তাদের প্রান সংশয় পর্যন্ত হতে পারে । তেমনি আপনাদের ঘরে ভিতরে থাকা অ্যাকুরিয়ামের মাছ গুলিও আপনাদের খুব সামান্য অসতর্কতার কারনে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বা এমনকি মারাও যেতে পারে । এখন দেখে নেওয়া যাক কি কি সতর্কতা গ্রহন করলে আমাদের মাছ গুলির কোন ক্ষতি হবে না । ১) যে ঘরে অ্যাকুরিয়াম আছে সেই ঘরে আবীর খেলবেন না , আবীরের কনা উড়ে গিয়ে অ্যাকুরিয়ামের জলে পড়তে পারে  । অ্যাকুরিয়ামের জলে আবীর পড়লে মাছ মারা যেতে পারে । ২) যে ঘরে অ্যাকুরিয়াম আছে সেই ঘরে  নিজের মাথা বা জামা কাপড় থেকে আবীর ঝাড়বেন না । অ্যাকুরিয়ামের জলে আবীরের গুড়ো পড়লে মাছ মারা যেতে পারে । বিশেষ সতর্কতা মূলক ব্যাবস্থা হিসাবে অ্যাকুরিয়ামটি একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন । ৩) দোলের দিন হাতে রং লেগে থাকে তাই ঐ দিন অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের হাত দিয়ে খেতে দেবেন না , কোন চামচ দিয়ে খেতে দেবেন । যতদিন না , হাতের রং ভালো করে না ওঠে

ফাইটার মাছ দিয়ে ঘরের শোভা বাড়ান ( fighter fish )

অ্যাকুরিয়ামের মাছের জগতে বিশেষ করে ফ্রেশ ওয়াটার মাছেদের মধ্যে একটি অন্যতম সুন্দর মাছের নাম হল ফাইটার মাছ , যে মাছটি বেটা ফিশ নামেও পরিচিত । অ্যাকুরিয়াম মাছেদের মধ্যে এই মাছের মত এত বিভিন্ন রঙের আর কোন মাছ দেখতে পাওয়া যায় না । এই মাছের এত ভালো ভালো রঙ হয় ,যে  কোন মানুষ ই এই মাছ দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় । অনেকেই চায় অ্যাকুরিয়ামটি শুধু এই মাছ দিয়েই ভর্তি করে রাখতে কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত এই মাছ এক সঙ্গে ১ টি র বেশি ছেলে মাছ একসঙ্গে রাখা যায় না , ফাইটার মাছের মেয়ে মাছ যদিয়ো এক সঙ্গে অনেক গুলি রাখা যায় কিন্তু মেয়ে ফাইটার মাছ দেখতে ছেলে ফাইটার মাছের তুলনায় ভালো নয় । ফাইটার মাছ যেমন একসঙ্গে থাকে না তেমনি এই মাছের বিশেষ সুবিধা হল এই মাছ ভীষণ কষ্টসহিষ্ণু এবং  অ্যাকুরিয়ামের যত ধরনের মাছ পাওয়া যায় ,তার মধ্যে এই ফাইটার মাছ সব থেকে ছোট জায়গায় ভালো ভাবে রাখা যায় । সেই কারনে  যাদের বাড়িতে অ্যাকুরিয়াম রাখার জায়গা নেই তারা একটি ছোট কাচের শিশি বা বোতলে বা কাঁচের ছোট গোল জারে এই মাছ ভালো ভাবে পুষতে পারেন । যেহেতু এই ম্মাছ ছোট যায়গায় রাখা যায় তাই এই মাছ আপনি ঘরের যে কোন যায়গায় বসিয়ে সহজেই ঘরের শোভা বাড়াতে পারেন