Posts

Showing posts from November, 2023

বেটা ফিশ/ ফাইটার ফিশ এর অক্সিজেন

Image
  অনেকেই আছেন যাদের সুস্পষ্ট ধারণা নেই, যে বেটা ফিশ বা ফাইটার ফিশ জন্যে অ্যাকুয়ারিয়াম এ অক্সিজেন দিতে হয় কি না । প্রথমেই বলে রাখি মাছটির আসল নাম কিন্তু বেটা ফিশ কিন্তু মাছটির মারকুটে স্বভাবের জন্যে বেশিরভাগ লোক এই মাছটিকে ফাইটার ফিশ নামেই ডেকে থাকে। এই মাছটি পোষার জন্যে অ্যাকুয়ারিয়ামের মধ্যে আলাদা ভাবে কোন রকম অক্সিজেন সাপ্লাই করার প্রয়োজন হয় না । এই মাছের অক্সিজেন খুবই কম লাগে বলতে গেলে এই মাছের জন্যে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না কারন এই মাছ একটি নির্দিষ্ট বয়সের  ( 6 থেকে 7 সপ্তাহ ) পরে সরাসরি বাতাস থেকেই অক্সিজেন নিয়ে থাকে।  আপনি যদি কোন রকম অক্সিজেনের ব্যাবস্থা ছাড়া মাছ পুষতে চান , তাহলে এই মাছের কোন বিকল্প হয় না ।    তবে মনে রাখবেন যেখানেই এই মাছ রাখুন না কেন তার মুখ যেন খোলা থাকে বা যদি আপনি যদি ঢাকাও দেন দেখবেন যেন ওই ঢাকনা তে যেন বাইরের বাতাস ঢোকার পথ থাকে। মনে রাখবেন যেখানে এই মাছ রাখবেন ,সেখানে ভুলেও কোন রকম অক্সিজেন সাপ্লাই করবেন না । যদি এই মাছ যেখানে রাখবেন,সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ করেন , তাহলে এই মাছের মারা যাবার সম্ভাবনা 100 ভাগ।

শীত কালে কোন মাছ বাচ্চা দেয়?

  এগ বেয়ারার মাছ অর্থাৎ যে সমস্ত অ্যাকুয়ারিয়াম এর মাছ গুলি সরাসরি বাচ্চা দিয়ে থাকে, সেই সব মাছ গুলি সব ঋতু তেই কম বেশি বাচ্চা দিয়ে থাকে। যে সমস্ত অ্যাকুয়ারিয়াম মাছ গুলি ডিম পেড়ে থাকে, সেই সব মাছেদের মধ্যে বেশিরভাগ মাছ ই শীত কালে ডিম পাড়ে না ।    মাত্র কয়েকটি অ্যাকুয়ারিয়াম এর মাছ আছে যারা শীত কালেই সব থেকে ভালো , সব থেকে বেশি পরিমাণে ডিম পাড়ে। ওই সব মাছ গুলির বাচ্চা করার জন্য শীত কাল সবথেকে ভাল। শীত কালে যে সব মাছের ডিম পাড়ানো ভালো, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল  গোল্ড ফিশ এবং ক্যাট ফিশ এই দুই জাতের মাছের ডিম এই সময় পাড়ানো সব থেকে ভালো। এখানে গোল্ড ফিশ বলতে সব ধরনের গোল্ডফিশ এর কথাই বললাম যেমন রেড গোল্ড ফিশ, রেড ক্যাপ অরান্ডা, ব্ল্যাক গোল্ড ফিশ, বাবল আই গোল্ড ফিশ, পান্ডা গোল্ড ফিশ প্রভৃতি সমস্ত জাতের গোল্ড ফিশ শীত কালে সব থেকে ভালো মানের ,ভালো পরিমাণে ডিম পাড়ে। এই সময় কালে এইসব মাছের বাচ্চাও খুব ভালো ভাবে পালন করা যায়। এখানে ক্যাট ফিশ বলতে আমি হোয়াইট কড়ি ক্যাট ফিশ, ব্রোঞ্জ ক্যাট ফিশ, মার্বেল ক্যাট ফিশ , পান্ডা ক্যাট ফিশ ইত্যাদি ছোট জাতের ক্যাট ফিশের কথা বললাম । শীত কালে ছ

গাপ্পী মাছের খাবার কি?

  গাপ্পী মাছ আমিষ এবং নিরামিষ দুই ধরণের খাবার ই খায় । জ্যান্ত খাবার হোক বা শুকনো খাবার , খেতে কোন আপত্তি নেই এই মাছের।   জ্যান্ত খাবারের মধ্যে ডাফনিয়া, কেঁচো, ব্লাড ওয়ার্ম, মশা এবং মশার লার্ভা  খেতে গাপ্পী মাছ খুব ভালো বাসে। আর অ্যাকুয়ারিয়াম মাছেদের জন্যে তৈরী করা যে কোন ধরনের শুকনো খাবার খেতে পারে। শুকনো খাবারের মধ্যে যদি প্যালেট অর্থাৎ দানা খাবার খেতে দেন, তাহলে মাইক্রো প্যালেট খাওয়াবেন, তা নাহলে যদি আপনি নর্মাল সাইজের বা তার চেয়ে বড় সাইজের দানা খাবার এই মাছকে খেতে দেন , সেই দানা খাবার গাপ্পী মাছেরা এক বারে গেলে নিতে পারে না । দানা খাবার গুলি ঠোকরাতে থাকে কিন্তু খাবারের দানাগুলো নরম না হওয়া পর্যন্ত খেতে পারে না। খাবারের দানা অ্যাকুয়ারিয়াম এর জলে বেশিক্ষন ভেসে থাকলে অ্যাকুয়ারিয়াম এর জল খারাপ হয়ে যাবে। Aquarium এর জল খারাপ হয়ে গেলে মাছ ও মারা যাবে। তাই মনে রাখবেন , গাপ্পী মাছ কে যদি প্যালেট খাবার দেন, তাহলে অবশ্যই মাইক্রো প্যালেট দেবেন। মাইক্রো প্যালেট খাবারের মধ্যে "অপটিমাম মাইক্রো প্যালেট" এবং হিকারি কোম্পানির মাইক্রো প্যালেট খুব ভালো।

অ্যাকুয়ারিয়াম এর মাছের হোয়াইট স্পট অসুখ এবং এর প্রতিকার

 White spot ( ichthyophthirius multifilis ) হোয়াইট স্পট, অ্যাকুয়ারিয়াম এ যারা মাছ পোষেন তাদের কাছে এই রোগ আতঙ্কের অপর নাম। Aquarium এ যারা মাছ পুসেছেন তাদের প্রত্যেকেই এই রোগের সঙ্গে কম বেশি পরিচিত। অ্যাকুয়ারিয়াম এর সব থেকে বেশি মাছ মারা যায় এই রোগ থেকেই। বেশিরভাগ মানুষের অ্যাকুয়ারিয়াম এ মাছ পোষা বন্ধ করে দেবার সব থেকে বড় কারন এই রোগ। হোয়াইট স্পট রোগ কেমন দেখতে? এই রোগ হলে ,মাছের গায়ে,পাখনায়  মিহি লবণ লেগে থাকলে যেমন দেখতে লাগবে ঠিক তেমনই দেখতে লাগবে। প্রথম দিকে দু চারটে সাদা মিহি দানা দেখা দেবে, 1 ,2দিন পর থেকে সারা গায়ে ভরে যাবে। মাছ ঝিমিয়ে পড়বে,খেতে চাইবে না। 3 দিন পর থেকে মাছ মরা শুরু হয়ে যাবে। হোয়াট স্পট রোগ কি ধরনের রোগ?       এই রোগ প্যারাসাইটিকাল ডিজিজ , হ্যা এই রোগ একটি পরজীবী অর্থাৎ প্যারাসাইট এর আক্রমণে হয়ে থাকে। অনেকেই এই রোগটিকে ফাঙ্গাস রোগ বলে থাকে কিন্তু আদপেও এটি ফাঙ্গাস রোগ নয় অ্যান্টি ফাঙ্গাস ওষুধ ব্যবহার করলে কিন্তু এই অসুখ কোন মতেই সারবে না।  হোয়াইট স্পট রোগ কখন হয়? এই রোগ বেশি হয় ঋতু পরিবর্তন এর সময়।বিশেষ করে গরম কাল থেকে শীতকাল পড়ার সময় বা

গোল্ডফিশ মাছ এক সাথে কত গুলি ডিম পাড়তে পারে?

Image
  সাধারণত একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গোল্ডফিশ ( ওজন আনুমানিক 50 থেকে 60 গ্রাম) একেকবারে 5,000 থে10,000 হাজার ডিম পাড়তে পারে। 1 টি গোল্ডফিশ প্রজনন ঋতুতে,প্রতি সপ্তাহে 1 বার ডিম পাড়তে সক্ষম, তবে মাছের যত্নও যথেষ্ট পরিমাণে নিতে হবে।        গোল্ডফিশ 15 দিন গ্যাপ দিয়ে প্রজনন করানো সব থেকে ভালো। 15 দিন ছাড়া ব্রিডিং করালে এক সাথে ভালো পরিমাণ বাচ্চাও পাবেন আবার ডিম এর fartilijation ও ভালো হয়।7/8 দিন গ্যাপ দিয়ে প্রজনন করালে ডিম এর ফাঙ্গাস বেশি হয় ।   

Aquarium সেট আপ করতে কি কি লাগে?

Image
একটি অ্যাকুয়ারিয়াম সেটআপ করতে কমপক্ষে যে কয়টি জিনিস লাগে সেগুলি হল নিম্নরূপ: 1) অ্যাকুয়ারিয়াম 2) air pump  3) ফিল্টার 4) gravels 5) ব্যাক পোস্টার 6) light 7) thermostat heater 

কোন জাতের মাছ অ্যাকুয়ারিয়াম এ রাখা শুভ?

  ফেংসুই মতে বাড়িতে এমন ধরনের মাছ রাখা ভালো যে জতের মাছ স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির হয়। অ্যাকুরিয়ামে শান্ত প্রকৃতির মাছ রাখলে, ওই বাড়িতে বসবাসকারী সকলের মন শান্ত এবং প্রফুল্ল থাকে এবং সেইসাথে  বাড়িতেও শান্তির পরিবেশ বজায় থাকবে। বাড়িতে হিংস্র স্বভাবের মাছ থাকলে,এই ধারণাই করা হয় যে ওই মাছের দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকলে মনের স্থিরতা নষ্ট হয়ে পড়ে। তাই বাড়িতে অ্যাকুয়ারিয়াম এ শান্ত মনোরম মাছ রাখাই উচিত।   ফেংসুই মতে কয়েকটি ভালো শান্ত মাছের নাম । 1) গোল্ড ফিশ : ফেং শুই মতে বাড়িতে গোল্ডফিশ জাতের মাছ রাখা সব থেকে ভালো। ফেং শুই  মতে শুধু মাত্র লাল এবং কালো রংয়ের গোল্ডফিশ কেই প্রাধান্য দেওয়া হলেও যে কোন জাতের গোল্ডফিশ মাছ ই  বাড়ীতে রাখা ভালো। 2) গুপ্পি মাছ :  এই জাতের মাছ গুলিও খুব সুন্দর এবং শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। এই মাছ ও বাড়িতে রাখা খুব শুভ প্রমাণিত। 3) জেব্রা ডেনিও ফিশ : এই ছোট জাতের মাছ গুলি একসঙ্গে অনেকগুলি রাখা যায়। এই মাছ এখন অনেক রংয়ের পাওয়া যায় বলে একসঙ্গে খুব সুন্দর দেখতে লাগে।

অ্যাকুয়ারিয়াম এর কোন মাছ সহজে মরে না?

Aquarium এ রাখার জন্যে যে সমস্ত জাতের  মাছ পাওয়া যায়, তার মধ্যে কয়েকটি জাতের মাছ আছে যারা অন্য মাছের তুলনায় বেশি কষ্ট সহিষ্ণু হয়ে থাকে। ওই সমস্ত জাতের মাছ গুলি অন্য মাছের তুলনায় কম মরে। দেখে নেওয়া যাক,ওই সমস্ত মাছের নামের তালিকা। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখা অনুযায়ী মাছের তালিকাটি তৈরী করে দিলাম। 1) বেটা ফিশ । 2) কিসিং গোড়ামি। 3) অন্যান্য জাতের গোড়ামি ( jiant গোড়ামি বাদে) 4) টাইগার barb। 5) টাইগার সার্ক। 6) জেব্রা ডেনিও। 7) মলি। 8) কার্প।

কত বছর বয়স পর্যন্ত গোল্ডফিশ মাছের বাচ্চা তোলা যায়?

Image
  1 বছর বয়স থেকে 4 বছর বয়স পর্যন্ত গোল্ডফিশ মাছ খুব ভালো মানের ডিম প্রজনন করে থাকে। এই বয়সের আগে বা পরে বাচ্চার গুণমান ভালো হয় না।

কত বয়স হলে গোল্ডফিশ মাছ ডিম পাড়তে পারে ?

Image
  6 থেকে 8 মাস বয়স হলেই গোল্ডফিশ মাছ ডিম পাড়তে সক্ষম হয় কিন্তু আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি গোল্ডফিশ মাছের বয়স 12 থেকে 14 মাস হবার পরে মাছের ডিম পাড়ানো হলে ,সেই বাচ্চা অনেক বেশি স্ট্রং হয়, বাচ্চার গ্রোথ খুব ভালো হয় এবং বাচ্চার মর্টালিটি রেট খুব কম হয়।

গোল্ডফিশ কোন ঋতুতে/ গোল্ড ফিশ মাছ কখন ডিম পাড়ে সময ডিম পাড়ে?

Image
  গোল্ডফিশ মাছ সাধারণত বর্ষাকালে এবং শীতকালে ডিম পাড়ে। এই দুই ঋতুতেই goldfisu মাছ সব থেকে ভালো ডিম দিয়ে থাকে। এই দুই সময়কালে গোল্ডফিশ মাছের প্রজনন করলে,সেই ডিম থেকে খুব ভালোমানের বাচ্চা পাওয়া যায় এবং বাচ্চার মর্টালিটি রেট খুব কম হবে। বাকি অন্য ঋতুতে গোল্ডফিশ মাছের বাচ্চা করানো সম্ভব হলেও বাচ্চার মর্টালিটি রেট খুব ই বেশি হবে ।

অ্যাকোয়ারীয়াম এর মাছ কতদিন বয়স হলে বাচ্চা দেয়?

Image
  Aquarium এ আমরা নানা ধরনের বা নানান জাতের মাছ পুষে থাকি। ওই সমস্ত মাছের বাচ্চা দেবার বয়স অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক হবার সময়ও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে, মাছের জাতের রকমভেদ অনুযায়ী তারা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে থাকে। যেমন একটি গাপ্পী মাছ জন্মান থেকে 6 থেকে 8 সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা দেবার উপযোগী হয়ে যায়, আবার একটি অস্কার মাছ ডিম পাড়ার উপযোগী হতে কমপক্ষে 12 থেকে 15 মাস সময় লাগে। তেমনই বিভিন্ন জাতের মাছের বাচ্চা পাড়ার বা ডিম পাড়ার বয়স ও আলাদা। দেখে নিন অ্যাকুয়ারিয়াম এর কোন জাতের মাছ কত বয়স হলে ডিম পারে না বাচ্চা দেয়। 1) গাপ্পী  মাছ -  এই মাছ 6 থেকে 8 সপ্তাহ বয়স হলেই বাচ্চা পাড়তে পারে। 2) মলি মাছ -  এই মাছের বয়স 8 থেকে 12 সপ্তাহের হলে এই মাছ বাচ্চা দিতে পারে। 3) সোর্ড টেল মাছ -  এই জাতের মাছ 10 থেকে 12 সপ্তাহের হলে , বাচ্চা দিতে পারে। 4) প্লাটি মাছ -  এই জাতের মাছ 10 থেকে 12 সপ্তাহ বয়সের পরে বাচ্চা দিতে পারে। 5) গোল্ডফিশ মাছ -  এই জাতের মাছের বয়স 8 মাস হলে ডিম পাড়তে সক্ষম। 6) কার্প মাছ - অন্তত 12 থেকে 14 মাস বয়স হবার পরে এই জাতের মাছ ডিম পাড়ে। 7) এঞ্জেল মাছ - এই জাতের মাছ 8 মাস বয়স

একোয়ারিয়াম এর জল বদল করার পদ্ধতি

Image
Aquarium এ মাছ পুষতে অনেকেই ভালোবাসেন , কিন্তু ভালোবেসে কিনে আনা মাছ গুলি যখন মারা যায় ,তখন কিন্তু মন খুব খারাপ হয়ে যায় । আর এভাবে কয়েকবার মাছ মারা যাবার পরে মাছ পোষার ইচ্ছেটাই নষ্ট হয়ে যায়। কেউ দোষ দেয় অ্যাকুয়ারিয়াম এর দোকানদারকে আবার কেউ দোষ দেয় নিজের ভাগ্য কে।  আমি আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে অ্যাকুয়ারিয়াম হবিস্ট রা ভুল পদ্ধতিতে aquarium এর জল পল্টাবার কারনেই বহু ক্ষেত্রেই তাদের প্রিয় মাছ গুলি কে মেরে ফেলেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক , aquarium এর জল বদল করার সঠিক পদ্ধতি কি? 1) অ্যাকুয়ারিয়াম জল পুরোটা পাল্টাবার চেষ্টা না করাই উচিত। আমি দেখেছি বেশিরভাগ মানুষ ই তাদের অ্যাকুয়ারিয়াম এর জল পুরোটা পালটে দিতে খুব ভালোবাসেন। মনে রাখবেন এই ভাবনা আপনার মাছের জন্যে ভয়ংকর তম ভাবনা। Aquarium এর জল পুরোটা পালটে দিলে সাময়িক ভাবে দেখতে ভালো লাগলেও, জল পুরোটা পালটে দিলে আপনার aquarium এর জন্যে সব থেকে প্রয়োজনীয় উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলি ফেলে দেওয়া জলের সঙ্গে বাইরে চলে যায়। উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলি না থাকার কারনে, আপনি আপনার aquarium এ যে নতুন জল দিলেন সেই জল খুব দ্রুত নষ্ট

অক্সিজেন ছাড়া মাছ।

Image
অক্সিজেন ছাড়া যে সমস্ত মাছ গুলি আকোয়ারিয়াম এ বা গোল কাঁচের জার এ রাখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হল গোড়ামি জাতের মাছ । এই জাতের মাছ গুলি অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু হয়ে থাকে ,তাই জাতের মাছ গুলি খুব সহজে,একদম কম পরিচর্যায় আপনি আপনার aquarium এ রাখতেই পারেন। এই গোড়ামি জাতের মাছগুলি জলের উপর থেকে নিঃশ্বাস নিয়ে থাকে, যেমন কই, সিঙ্গী, মাগুর মাছ নিয়ে থাকে, তাই এই জাতের মাছ পোসার জন্য অ্যাকুরিয়ামে আলাদা করে অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রয়োজন হয় না। আপনি একটি aquarium এ, বা একটি গোল কাঁচের জার এর ভিতরে air pump ছাড়াই খুব সহজে এই জাতের মাছ রাখতে পারেন। এই জাতের মাছ ও বেশ কয়েকটি  ধরনের পাওয়া যায় যেমন হল কিসিং গোড়ামি  কিসিং গোড়ামি  কসবি গোড়ামি হোল আরো একটি এই জাতের মাছের নাম, এই মাছটি বেশ উজ্জ্বল নীল রংয়ের হয়,                     কসবী গোড়ামি।   কসবী গোড়ামি। হোয়াইট গোড়ামি হল আরো একটি এই জাতের মাছ। অপূর্ব সুন্দর রংয়ের এই মাছটি ও আপনি আপনার সংগ্রহে রাখতে পারেন।               হোয়াইট গোড়ামি  এবার যে গোড়ামি জাতের মাছটির নাম বলবো, সেটি হল গোল্ডেন গোড়ামি। গোল্ডেন রংয়ের জন্যই,এই জাতটির নাম গো

গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে কি কি মাছ রাখা যায় না

Image
বর্ত মানে অনেক মানুষের কাছে রঙ্গিন মাছ পোষা খুবই জনপ্রিয়। আমার মতে এই রঙিন মাছ পোষার সখ সব থেকে ভালো এবং অন্যান্য পোষ্য পোষার তুলনায় একেবারেই ঝঞ্ঝাট বিহীন। আর এই সখের প্রথম পছন্দের মাছটির নাম হোল গোল্ডফিশ । এই মাছের নজর কাড়া রং এবং এর গড়ন, এই মাছ টিকে মানুষের পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  এই লেখাটিতে আমি আলোচনা করব যে গোল্ডফিশ মাছের সঙ্গে আর অন্য কি কি ধরনের মাছ রাখা যায় না বা রাখা উচিত নয়। কারন এমন অনেক ধরনের মাছ আছে যে গুলি দেখতে খুবই সুন্দর, দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে, কিন্তু সেই সমস্ত মাছেদের মধ্যে অনেক জাতের মাছ আছে যেগুলি গোল্ডফিশ মাছের সঙ্গে একেবারেই রাখা যায় না বা রাখা উচিত নয় । যদি ঐ সমস্ত মাছ গুলি আপনি আপনার অ্যাকুয়ারিয়াম এ গোল্ড ফিশ মাছের সঙ্গে রাখেন তাহলে আপনার goldfish মাছ গুলি মারা যাবে।  এখন সেই সব মাছের নামের তালিকাটি দেখে নেওয়া যাক। প্রথমেই যে মাছটির নাম বলব সেই মাছ টি গোল্ডফিশ মাছের সঙ্গে রাখা যাবেনা সেটি হল মলি জাতের মাছ। সে আপনি যে জাতের মলি মাছ ই রাখুন না কেন। রেড মলি, ব্ল্যাক মলি, হোয়াইট মলি, মার্বেল মলি, লায়ার টেল মলি, হাই ফিন মলি, যে কোন জ

আকোয়ারিয়াম এর পাথর

Image
  আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন , যে অ্যাকুয়ারিয়াম কোন ধরনের পাথর ব্যাবহার করা ভালো ?  আমি বলবো, যে সমস্ত ধরনের পাথর ব্যাবহার করলে অ্যাকুয়ারিয়াম এর মাছের, অ্যাকুয়ারিয়াম এর গাছের এবং অ্যাকোয়ারিয়াম এ থাকা লক্ষ্য লক্ষ্য beneficial bacteria গুলির কোন রকম কোন ক্ষতি হয় না, এমন ধরনের পাথর বা gravels ব্যাবহার করা উচিত। প্রথমে বলবো কি ধরনের বা কোন ধরনের পাথর অ্যাকুয়ারিয়াম এ ব্যাবহার করা উচিত নয়।যে সমস্ত ধরনের পাথর গুলিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা আছে, সেই সমস্ত ধরনের পাথর গুলি aquarium এ ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।  এখন প্রশ্ন হলো , আপনি কিভাবে সহজে বুঝবেন যে কোন ধরনের পাথর এ রাসায়নিক বিক্রিয়া হবে না। খুব সহজেই বাড়িতে একটি ছোট পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারবেন যে পাথর টি বা পাথর গুলি আপনি আপনার অ্যাকুয়ারিয়াম ব্যাবহার করার মতো উপযুক্ত কিনা।  যে পাথর আপনি ব্যাবহার করতে চাইছেন, সেই পাথর আগে ভালো করে শুকনো করে নিন। তার পর ওই পাথর এর উপর কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস ফেলুন। দেখুন ওই লেবুর রসে কোন গাঁজা তৈরী হয়েছে কিনা। যদি গাঁজা তৈরী না হয় তাহলে স্বচ্ছন্দে ওই পাথর আপনার অ্যাকুয়ারি