প্লাটি ( জিপোফোরাস ম্যাকুলেটাস )
ফ্যামিলি ঃ পোয়েসিলিড ।
রঙ্গিন মাছের জগতে প্লাটি মাছের খুব
কদর , কারন এই মাছ সহজে সব অ্যাকুরিয়ামের
দোকানে পাওয়া যায় , এই মাছ নানান রঙের পাওয়া যায় ,খুব উজ্জল রঙের হয় ,এবং এই মাছের সহনশীলতা । এই সব কারনে এই মাছের চাহিদা খুব । যারা নতুন মাছ পোষা শুরু করবেন তাদের
জন্য এই মাছ আদর্শ ।
প্লাটি মাছের প্রাপ্তি স্থান কোথায় ( origins ) ? এই মাছের আদিম প্রজাতি সাধারনত
মেক্সিকো এবং গুয়াতেমালা , হন্ডুরাস ,বেলিজ প্রভৃতি দেশের দক্ষিন অংশে দেখতে পাওয়া যায় ।
প্লাটি মাছ কত বড় হয় ( size ) ? এই মাছ অ্যাকুরিয়ামে সাধারনত
২ থেকে ২.৫ ইঞ্চি
পর্যন্ত বড় হয় । তবে উপযুক্ত পরিবেশ এবং পরিচর্যা পেলে
এই মাছ এর কয়েকটি প্রজাতি ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হতে দেখেছি ।
প্লাটি মাছ কত দিন বাঁচে ( life span ) ? এই মাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২ বৎসর পর্যন্ত বাঁচে । তবে খুব ভাল ভাবে রাখলে ৩ বৎসর পর্যন্ত বাঁচে ।
প্লাটি মাছ কত ধরনের
পাওয়া যায় ( species ) ? এই মাছ অনেক রঙের অনেক জাতের পাওয়া যায়। এছাড়াও এই জাতের মাছেদের মধ্যে এক জাতের সঙ্গে অন্য জাতের বা রঙের মিলন ঘটিয়ে বিভিন্ন
রঙের মাছ পাওয়া যায় । বিভিন্ন
রঙ আর শরীরের নকশা যদি গুনতে বসা হয় তাহলে হয়তো গুনে শেষ
করা যাবেনা। সাধারনত যে কটি আসল জাতের প্লাটি মাছ
সহজেই পাওয়া যায় সেগুলি হল ১) রেড প্লাটি ,২) রেড ওয়াগ টেল প্লাটি ,৩) পিন টেল ওয়াগ টেল প্লাটি ,৪) ব্ল্যাক প্লাটি ,৫) মুন প্লাটি ,৬) সান সেট প্লাটি ,৭) ভেরিয়েটাস প্লাটি ,৮) হাই ফিন প্লাটি ,৯ ) ব্লু প্লাটি ,১০) গোল্ড কমেট প্লাটি ,১১ ) মিকি মাউস প্লাটি ,১২) ব্লু কোরাল প্লাটি ইত্যাদি।
প্লাটই মাছের স্বভাব এবং প্রকৃতি কেমন হয় ( habit and nature ) ? এই মাছের স্বভাব শান্ত , এই মাছ সকলের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে
পারে । সাধারনত এই মাছকে আক্রমণাত্মক হতে দেখা
যায় না । এইমাছ প্যান্টেড অ্যাকুরিয়ামের জন্য
খুব ভালো চয়েস ।
প্লাটি মাছ কি খেতে ভালোবাসে ( foods and feeding ) ? এই মাছকে আপনি জ্যান্ত এবং শুখনো দুই
ধরনের খাবার ই আপনি দিতে পারেন । যে খাবার
ই আপনি দিন না কেন এই মাছ বেশ তৃপ্তি করেই খাবে । জ্যান্ত খাবারের মধ্যে
কেঁচো , ডাফনিয়া , মশার লার্ভা , আর্টিমিয়া , ব্লাড ওয়ার্ম ইত্যাদি । শুখনো খাবারের
মধ্যে এখন ভালো ভালো খাবার পাওয়া যায় ,এক টু দেখে শুনে কোন দানা খাবার বা ফ্লেক খাবার আপনি ব্যাবহার
করতে পারেন ।তবে এই টুকু
মনে রাখবেন মাছের সাইজ মতন মাছের দানা খাবারের সাইজ বেছে নেবেন ।
প্লাটিমাছের সঙ্গে কি কি মাছ রাখা যায় / প্লাটি মাছের সঙ্গে কোন কোন মাছ রাখা
যায় (
compatible ) ? এই মাছ খুব শান্ত প্রকৃতির হয় ।তাই এই মাছের সঙ্গে যে কোন শান্ত মাছ রাখা যায় । তবে মনে রাখবেন এই মাছ যেহেতু আকারে
ছোট হয় তাই এই মাছ কোন বড়ো জাতের মাছের সঙ্গে না রাখাই ভালো । যদিও আপনি বড় জাতের অথচ শান্ত মাছ রাখেন, তাহলেও রাখা উচিত নয় কারন আপনি যখন
খেতে দেবেন তখন ওই বড় মাছ গুলি আপনার দেওয়া খাবার আগে খেয়ে নেবে , আকারে ছোট হবার কারনে এক সঙ্গে থাকা
প্লাটি মাছ, বড় মাছের
সঙ্গে লড়াই করে খেতে পারবে না । যে সমস্ত
মাছ গুলির সঙ্গে এই মাছ ভালো ভাবে রাখা যায় ,সেগুলি হল ১) যে কোন মলি মাছ ,২) যে কোন গাপ্পি মাছ ,৩) যে কোন টেট্রা মাছ ,৪) যে কোন ডেনিও মাছ ,৫) যে কোন ছোট জাতের সার্ক,৬) যে কোন ছোট জাতের ক্যাট ফিশ,৭) যে কোন রেইনবো জাতের মাছ ,৮) যে কোন বার্ব জাতের মাছ ,৯) যে কোন গোরামি ,১০) যে কোন লোচ , আর একটু বড় জাতের মাছের মধ্যে এঞ্জেল
এবং গোল্ড ফিশ রাখা যায়।তবে মনে রাখবেন যে গোল্ড ফিশের
লেজ ২ টো কেবল মাত্র সেই গোল্ড ফিশ গুলিই রাখবেন, কারন জোড়া লেজের গোল্ড ফিশ গুলি
জোরে দৌড়াতে পারে না ।
প্লাটি মাছের
সঙ্গে কোন কোন মাছ মাছ রাখা উচিত নয় ( not compatible )? এই মাছ যে সমস্ত মাছের সঙ্গে রাখা যায়
না সেগুলি হল ১) কার্প , ২) বড় সার্ক ,৩) একটি লেজের গোল্ড ফিশ ,৪) অস্কার ,৫) প্যারট ,৬) সিভোরাম ,৭) যে কোন আফ্রিকান সিক লিড , ৮) যে কোন বড় জাতের ক্যাট ফিশ ইত্যাদি।
প্লাটি মাছের শরীর স্বাস্থ কেমন হয় ( health ) এই মাছ বেশ শক্ত পোক্ত ধরনের হয় । সহজে এই মাছ অসুস্থ হয় না । যারা নতুন মাছ পোষা শুরু করেছেন তাদের
জন্য এই মাছ খুব উপযুক্ত।
প্লাটি মাছের জন্য কত বড় অ্যাকুরিয়াম প্রয়োজন হয় ( aquarium size ) ?এই মাছের জন্য কমপক্ষে ৪ লিটার জল ধরে
এমন সাইজের গ্লাস জার অথবা অ্যাকুরিয়াম যথেষ্ট । তবে যতটা বড় অ্যাকুরিয়ামে এই মাছ রাখবেন
তত বেশি দিন এই মাছ বেঁচে থাকবে এবং মাছের সাইজও বেশি বড়ো হবে ।
প্লাটি মাছের জন্য কত তাপমাত্রা প্রয়োজন হয় ( temperature ) ? এই মাছ বেশ কষ্টসহিষ্ণু । এই মাছ ১৮ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেন্টি গ্রেড
তাপমাত্রায় বেশ ভালো থাকে ।
প্লাটি মাছ রাখার জন্য জলের পি এইচ ( ph ) কত দরকার হয় ? এই মাছ ভালো রাখার জন্য ৭ থেকে ৭.৫
পি এইচ মাত্রার জল ভালো । তবে মনে রাখবেন প্লাটি মাছের বিভিন্ন জাতের ভিন্ন পি এইচ
এর জল লাগে । মাছ ছাড়ার আগে যে জাতের প্লাটি মাছ রাখবেন তার প্রয়োজনীয় পি এইচ
লেবেল চেক করে নেবেন ।
প্লাটি মাছের জন্য কোন ধরনের জল ভালো ( water condition ) ? এই মাছ একটু soft থেকে এক্টূ hard জল পছন্দ করে ( ৫০ থেকে ১৫০ মিলি গ্রাম প্রতি লিটার
হার্ড নেসের জল ) ।
প্লাটি মাছ এর অ্যাকুরিয়ামে কি ধরনের আলো ব্যাবহার করা উচিত ( lightning ) ? এই মাছের অ্যাকুরিয়ামে যে কোন আলো ব্যাবহার
করা যায় । যে আলোই ব্যাবহার করুন না কেন সেই আলোতে
জ্যান্তগাছ ভালো থাকতে পারে এমন উজ্জল আলো হলেই চলবে ।
প্লাটি মাছের জন্য কি ধরনের ফিল্টার প্রয়োজন হয় ( filtration ) ? এই মাছের জন্য আপনি যে কোন ধরনের ফিল্টার
ব্যাবহার করতে পারেন । যেমন আন্ডার গ্রাভেল ফিল্টার , স্পঞ্জ ফিল্টার , বায়োলজিকাল ফিল্টার , কেমিক্যাল ফিল্টার ,ইত্যাদি । এই মাছকে আপনি কোন ফিল্টার ছাড়াই রাখতে
পারেন, যদি আপনি
আপনার অ্যাকুরিয়ামে কিছু জ্যান্ত গাছ যেমন হাইড্রোফিলা , অ্যানাকারিস , কাবাম্বা ইত্যাদি গাছ লাগিয়ে রাখেন
।
প্লাটি মাছের জন্য কি জলের স্রোত দরকার হয় ( water flow ) ? না এই মাছের জন্য জলের স্রোত দরকার
পড়ে না, তবে জলে
হাল্কা স্রোত থাকলে এই মাছের খুব একটা অসুবিধাও হয় না ।
প্লাটি মাছের অ্যাকুরিয়ামে কি কি জিনিস দিয়ে সাজানো
ভালো ? এইমাছের অ্যাকুরিয়ামের সব চেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হল জ্যান্ত গাছ , এক টু মিহি দানার ন্যাচারাল বালি অথবা
পাথর, ২ /৪ টি বড় ন্যাচারাল পাথর । ড্রিফট উড ব্যাবহার করলে দেখতে ভালো
লাগে ঠিকই, তবে এই কাঠ
জলে দিলে জলের পি এইচ একটু কমে যায় সে দিকে একটু খেয়াল রাখবেন ।
প্লাটি মাছের অ্যাকুরিয়ামের নিচে কি ধরনের পাথর ব্যাবহার করা ভালো ( substrate ) ? এই মাছের জন্য একটু ছোট সাইজের পাথর ব্যাবহার করা ভালো ।ছোট দানার পাথর
বা বালি অথবা অ্যাকুরিয়াম সয়েল ব্যাবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন রঙ্গিন বালি
অথবা পাথর দেখতে যতই ভালো লাগুক না কেন এটি মাছের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক । সব সময়
ন্যাচারাল পাথর বা বালি ব্যাবহার করবেন।
প্লাটি মাছ রাখার জন্য
জল বদলের নিয়ম কি ( water change ) ?
এই মাছের জন্য প্রতি ১৫ দিন অন্তর ১/৪ ভাগ অরথাত ২৫ শতাংশ জল বদল করবেন । তবে বদল করার জল
যেন অন্তত ৪৮ ঘন্টার বাসি হয় এবং একই তাপমাত্রার হয় ।
প্লাটী মাছের কি কি রোগ বেশি হয় এবং এর প্রতিকার কি ( diseases and treatment ) ? এই মাছের ৩টি রোগ বেশি হয় , ১) হোয়াইট স্পট ,২) মাউথ ফাঙ্গাস ,৩) টেল রট বা লেজ পচা রোগ ।
১) হোয়াইট স্পট ঃ এই রোগের উপসর্গ হল মাছের গায়ে সাদা
সাদা পোস্তর দানার মতন দাগ , মাছ টি অ্যাকুরিয়ামের ভিতর যে সমস্ত জিনিস থাকে , সেগুলির গায়ে বারংবার নিজের গা ঘসতে
থাকে । ১ দিন পর থেকে মাছ নিস্তেজ হয়ে পড়তে
থাকে ,মাছ খাওয়া
বন্ধ করে দেয়। সময় মতন চিকিৎসা না হলে মাছ মারা যাবে
।
প্রতিকার ঃ এই রোগ সাধারনত ২ টি কারনে হয় । ১ম কারন
হল হটাত জলের তাপমাত্রার পরিবর্তন , বিশেষ করে যদি তাপমাত্রা কমে যায়। ২য় কারন হল যদি জলে অ্যামোনিয়ার পরিমান
বেড়ে যায় , জলে অ্যামোনিয়া বাড়ার সাধারনত কারন হল যদি কোন কারনে আপনার ফিল্টার সিস্টেম ফেল
করে যায় , আর যদি আপনি আপনার অ্যাকুরিয়ামে খাবার বেশি দিয়ে ফেলেন , অথবা আপনার অ্যাকুরিয়ামে বেসি মাছ ছেড়ে
থাকেন । এর মধ্যে যে কারন টি ঘটেছে সেটি ঠিক
করে নিতে হবে । তারপর আযকুরিয়ামের জল ৫০ শতাংশ পাল্টে
দিন । জলের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
করুন । এর পর ওই জলে কোণ ভালো কোম্পানির অ্যান্টি
ফাঙ্গাস ওষুধ পরিমান মতন ব্যাবহার করুন । এই ওষুধ অন্তত ১৫ দিন ব্যাবহার করবেন । না হলে এই রোগ ফিরে আসতে পারে।
২) মাউথ ফাঙ্গাস ঃ এই রোগ হলে মাছের ২টি ঠোঁট সাদা হয়ে
যায় , মাছ কিছু খেতে চায়না। মাছ নির্জীব হয়ে পড়ে । ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মাছ মারা যায়
।
প্রতিকার ঃ মাছের এই রোগের উপসর্গ দেখতে পেলে প্রথমে ২৫ শতাংশ জল বদল করে দিন । জলের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেন্টি গ্রেড
এ রাখুন । এর পর মারকিউরিক্রোম বা যেটাকে আমরা
লাল ওষুধ বলে চিনি ,সেই ওষুধ
অথবা জেন্সান ভায়োলেট নামে একটি ওষুধ ( ( মানুষের ওষুধের দোকানে পাওয়া যায় ) তুলোয় করে সরাসরি মাছের ঠোঁটে লাগান
দিনে ২ বার করে ৩/৪ দিন । অথবা অ্যাকুরিয়ামের দোকান থেকে ভালো
অ্যান্টি মাউথ ফাঙ্গাস এর ওষুধ এনে পরিমান মত ব্যাবহার করুন ।
৩) টেল রট বা লেজ পচা রোগ ঃ এই রোগ হলে মাছের লেজ শুকিয়ে যায় অথবা লেজ বা পাখনায় পচন ধরে। সময় মত চিকিৎসা না করলে মাছ মারা যাবে
।
প্রতিকার ঃ এই রোগ হলে অ্যাকুরিয়ামের জল ৫০ ভাগ বদল করে দিন । অ্যাকুরিয়ামের নিচে বা পাথরের মধ্যে
ময়লা জমে থাকলে পরিস্কার করে দিন । ফিল্টার
ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে দিন । জলের তাপমাত্রা
সঠিক রাখুন । এর পর অ্যাক্রিফ্লেভিন বা মালাসাইট
গ্রীন ওষুধ ২ ফোটা প্রতি ৫ লিটার জলের হিসাবে দিনে ১ বার করে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যাবহার
করুন ।
প্লাটি মাছের ছেলে মেয়ে চেনার উপায় কি ( male / female ) ? এই মাছের ছেলে মেয়ে চেনা খুব সহজ । এই জাতের মাছের ছেলে মাছের অ্যানাল
ফিন সরু লম্বা মতন হয় , আর মেয়ে মাছের অ্যানাল ফিন গোল হয় এই পার্থক্য আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন।এছাড়া ছেলে মাছের গায়ের রঙ মেয়ে
মাছের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল হয় । আরো একটি পার্থক্য হল মেয়ে মাছের চেহারা ছেলে
মাছের তুলনায় একটু মোটা এবং গোল হয় ।
প্লাটি মাছের বাচ্চা তোলার পদ্ধতি কি ( breeding ) ? এই মাছের বাচ্চা তোলা খুব ই সহজ । কারন এই মাছ ডিম পারে না সরা সরি বাচ্চা পারে , কোন ঝামেলা নেই । আপনি আপনার অ্যাকুরিয়ামে একটু বেসি
পরিমানে জ্যান্ত গাছ দিয়ে রাখলে এই মাছ আপনার অ্যাকুরিয়ামের মধ্যেই বাচ্চা দেবে । তবে এই পদ্ধতিতে সব বাচ্চা পাওয়া যায়
না ,কিছু বাচ্চা অন্য মাছে খেয়ে নেয় । সব থেকে ভালো এই মাছের মেয়ে মাছের পেটে
বাচ্চা এলে ( পেট অনেকটা ফুলে উঠলে ) ওই মাছটিকে বা যদি একসঙ্গে অনেক গুলি মেয়ে মাছের পেটে বাচ্চা
আসে ,সব কটি মাছকেই আপনি একটি ব্রিডিং নেট
এর মদ্ধে ছেড়ে দিতে পারেন , এই পদ্ধতির সুবিধা হল এই নেটের মধ্যে মা মাছ গুলি যখন বাচ্চা
পাড়বে ,ওই বাচ্চা
গুলি নেটের ফাক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবে , বাচ্চা গুলিকে নেটের মদ্ধে থাকা বড়
মাছ গুলি খেয়ে নেবার সুযোগ পাবে না । এই মাছের
বাচ্চা দের আপনি জ্যান্ত ডাফনিয়া খেতে দিতে পারেন । যদি ডাফনিয়া না পান তাহলে মাছের দানা
খাবার এর ২/৩ টি দা
মিহি করে গুঁড়িয়ে খেতে দিতে পারেন ।
প্লাটি মাছ ভালো রাখার জন্য কিছু জরুরী পরামর্শ ( tips ) :
১) অতিরিক্ত খাবার দেবেন না ।
২) অন্তত ৪৮ ঘন্টার পুরানো এবং একই তাপমাত্রার জল দিয়ে জল বদল করবেন ।
৩) হটাত করে অ্যাকুরিয়াম থেকে জ্যান্ত গাছ তুলে নেবেন না ।
৪) ওষুধের ওভার ডোজ ব্যাবহার করিবেন না ।
Comments
Post a Comment