ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন কিভাবে নেবেন
আপনি কি জানেন মাছ শীত কালে যত না মরে , তার থেকে বেশী মরে শীত কাল চলে যাবার সময় । সারা শীত কাল ধরে হিটার চালিয়ে অনেক যত্ন নিয়ে আপনার সখের মাছ গুলি বাঁচিয়ে রাখার পরে যখন শীত কাল চলে যাবার মুখে , এই সময়ই দেখলেন হটাত করে আপনার মাছ গুলি মারা যেতে সুরু করে দিল বা ১ / ২ টি মাছ মরে গেল । আপনার মন খারাপ হয়ে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক । এই সময় মাছ যাতে না মারা যায় তার জন্য সামান্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলেই অকালে মাছ মারা যাওয়া আপনি সহজেই বন্ধ করতে পারেন ।
যারা অ্যাকুরিয়ামে মাছ পোষেন তাদের কাছে সারা শীত কাল ধরে মাছ বাঁচিয়ে রাখাটা প্রায় যুদ্ধ জয়ের সামিল ।, যুদ্ধ জয় করে ওঠার পরে সৈন্যরা যেমন আনন্দে মেতে ওঠে , আমরাও ঠিক তেমনি আনন্দের ফলে বেশ কিছু জিনিস ভুল করে বসি বা এটা ভেবে নিই যে শীত কাল যখন চলে যাচ্ছে আর মাছ মরার কোন ভয় নেই । মাছ অসুস্থ সব থেকে বেশী হয় এই সময়ই । আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি মেনে চললে আপনার আদরের মাছ গুলি বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন ।
১) আমরা সবার প্রথমেই যে ভুল টা করে থাকি সেটা হল হটাত করে অ্যাকুরিয়ামের হিটার টি বন্ধ করে দেওয়া । আমরা ভাবি ঠাণ্ডা যখন চলে যাচ্ছে আর বোধ হয় হিটার চালাবার প্রয়োজন নেই । কিন্তু এটাই সব থেকে বড় ভুল করে বসি কারন এই সময় এমন একটা তাপমাত্রা চারপাশে থাকে যে তাপমাত্রায় মাছেদের ভিভিন্ন রকম অসুখ করতে পারে , সেটা ভাইরাল ডিজিজ হোক বা ব্যাক্টেরিয়াল বা ফাংগাস জাতিও ও হতে পারে যে ধরনের অসুখই হোক না কেন এই তাপমাত্রায় রোগের বৃদ্ধি খুবই দ্রুত হয় । তাই এই সময়ে কোন ভাবেই অ্যাকুরিয়ামের হিটার বন্ধ করবেন না । এখন অ্যাকুরিয়ামের যে সমস্ত হিটার কিনতে পাওয়া যায় সেগুলি বেশীর ভাগই অটোমাটিক সিস্টেম । তাই ভয় পাবার কোন কারন নেই জল বেশী গরম হয়ে যাবার । জল যখন আবহাওয়ার কারনে আপনা থেকে গরম হয়ে যাবে আপনার হিটার টিও নইজে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে , তাই হিটার বন্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই ।
২) এই সময় অ্যাকুরিয়ামের জলে অক্সিজেনের পরিমান যথেষ্ট বেশী থাকে তাই এই সময়ে জলে এয়ার পাম্পের সাহায্যে বা অন্য কোন ফিল্টার এর যেমন পাওয়ার ফিল্টার বা টপ ফিল্টারের সাহায্যে অ্যাকুরিয়ামের জলে যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় তার পরিমান খুব ভালো ভাবে নিওন্ত্রন করতে হবে । আপনার জলে কতটা পরিমানে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে তা বোঝার জন্যে প্রথমে সমস্ত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিন । তার পর দেখুন আপনার মাছ গুলি অক্সিজেনের অভাবে কখন জলের উপরিভাগে ভেসে ওঠে , মাছ জলের উপর দিকে ভেসে উঠলে অ্যাকুরিয়ামে অল্প অল্প করে অক্সিজেন সরবরাহ করা সুরু করুন । আপনার অ্যাকুরিয়ামের মাছ গুলি ঠিক যতটা অক্সিজেন পেলে জলের ভিতর দিকে নেমে যায় , ঠিক তত টুকু অক্সিজেনই অ্যাকুরিয়ামে সরবরাহ করুন ।
৩) এই সময় মাছের খিদে অনেকটা কম থাকে , তাই এই সময় যখন আপনি আপনার অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের খেতে দেবেন , তখন অ্যাকুরিয়ামের পাশে দাড়িয়ে মাছেদের খাবার খাওয়ার দিকে নজর রাখুন । যদি দেখেন আপনার দেওয়া খাবার আপনার মাছেরা ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেয়ে নিয়েছে তাহলে ঠিক আছে । আর যদি দেখেন ৩ মিনিট পরেও খাবার রয়ে গেছে তাহলে ওই বাড়তি খাবার সত্তর জল থেকে তুলে নেবেন । পরের বেলায় আর খেতে দেবেন না । পরের দিন কিছুটা কম পরিমানে খেতে দিন ।
৪) এই সময় , বিশেষ করে ভালোভাবে গরম কাল না পরা পর্যন্ত অ্যাকুরিয়ামের জল ৫০ ভাগের বেশী বদল করবেন না । সে আপনার অ্যাকুরিয়ামে যতই ময়লা থাক না কেন । জল বদল করবেন অবশ্যই ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার পুরোন বা বাসি জল দিয়ে । যে জল আপনি অ্যাকুরিয়ামে দেবেন সেই জল যেন আপনার অ্যাকুরিয়ামের জলের তাপমাত্রার সমান হয় । সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি একটি পাস্টিক এর প্যাকেটের মধ্যে জল ভরে প্যাকেটের মুখ টি বেঁধে অ্যাকুরিয়ামের জলে ৩০ মিনিট ভাসিয়ে রেখে তবে জল ঢালেন ।
৫) সারা দিন অ্যাকুরিয়ামের আলো জ্বালিয়ে রাখবেন ।
৬) প্রতি সপ্তাহে ১০ ভাগ জল বদল করে অবশ্যই পরিমান মত কোন ভালো কোম্পানির মেথিলিন ব্লু , অ্যাক্রিফ্লেভিন অথবা মালাসাইট গ্রীন ব্যাবহার করুন । এতে আপনার মাছ অনেকটাই ভালো থাকবে ।
৭) এই সময় যেহেতু মাছের রোগ বেশী হয় তাই প্রতিদিন মাছকে খেতে দেবার আগে আপনার অ্যাকুরিয়ামের মাছ গুলিকে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন সব মাছ গুলি সুস্থ আছে কিনা । কারন মাছেদের খেতে দেবার সময়ই মাছ সব থেকে বেশী চনমনে হয়ে ওঠে । এই সময় যদি দেখেন কোন মাছ কম চলাচল করছে বা ঝিমিয়ে থাকছে তাহলে সহজেই অসুস্থ মাছ টিকে চিহ্নিত করতে পারবেন । এর পরে মাছ টিকে আলাদা করে নিয়ে ট্রিট্মেন্ট করতে পারবেন । রোগ বেড়ে যাবার আগেই চিকিৎসা শুরু করতে পারলে আপনি আপনার মাছ টিকে বাঁচিয়ে নিতে পারবেন ।
৩) এই সময় মাছের খিদে অনেকটা কম থাকে , তাই এই সময় যখন আপনি আপনার অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের খেতে দেবেন , তখন অ্যাকুরিয়ামের পাশে দাড়িয়ে মাছেদের খাবার খাওয়ার দিকে নজর রাখুন । যদি দেখেন আপনার দেওয়া খাবার আপনার মাছেরা ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেয়ে নিয়েছে তাহলে ঠিক আছে । আর যদি দেখেন ৩ মিনিট পরেও খাবার রয়ে গেছে তাহলে ওই বাড়তি খাবার সত্তর জল থেকে তুলে নেবেন । পরের বেলায় আর খেতে দেবেন না । পরের দিন কিছুটা কম পরিমানে খেতে দিন ।
৪) এই সময় , বিশেষ করে ভালোভাবে গরম কাল না পরা পর্যন্ত অ্যাকুরিয়ামের জল ৫০ ভাগের বেশী বদল করবেন না । সে আপনার অ্যাকুরিয়ামে যতই ময়লা থাক না কেন । জল বদল করবেন অবশ্যই ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার পুরোন বা বাসি জল দিয়ে । যে জল আপনি অ্যাকুরিয়ামে দেবেন সেই জল যেন আপনার অ্যাকুরিয়ামের জলের তাপমাত্রার সমান হয় । সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি একটি পাস্টিক এর প্যাকেটের মধ্যে জল ভরে প্যাকেটের মুখ টি বেঁধে অ্যাকুরিয়ামের জলে ৩০ মিনিট ভাসিয়ে রেখে তবে জল ঢালেন ।
৫) সারা দিন অ্যাকুরিয়ামের আলো জ্বালিয়ে রাখবেন ।
৬) প্রতি সপ্তাহে ১০ ভাগ জল বদল করে অবশ্যই পরিমান মত কোন ভালো কোম্পানির মেথিলিন ব্লু , অ্যাক্রিফ্লেভিন অথবা মালাসাইট গ্রীন ব্যাবহার করুন । এতে আপনার মাছ অনেকটাই ভালো থাকবে ।
৭) এই সময় যেহেতু মাছের রোগ বেশী হয় তাই প্রতিদিন মাছকে খেতে দেবার আগে আপনার অ্যাকুরিয়ামের মাছ গুলিকে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন সব মাছ গুলি সুস্থ আছে কিনা । কারন মাছেদের খেতে দেবার সময়ই মাছ সব থেকে বেশী চনমনে হয়ে ওঠে । এই সময় যদি দেখেন কোন মাছ কম চলাচল করছে বা ঝিমিয়ে থাকছে তাহলে সহজেই অসুস্থ মাছ টিকে চিহ্নিত করতে পারবেন । এর পরে মাছ টিকে আলাদা করে নিয়ে ট্রিট্মেন্ট করতে পারবেন । রোগ বেড়ে যাবার আগেই চিকিৎসা শুরু করতে পারলে আপনি আপনার মাছ টিকে বাঁচিয়ে নিতে পারবেন ।
PL. ATTACH PICTURE & MENTION THE LOCAL NAME FOR COMMON PEOPLE.
ReplyDelete