মাছ মারা যায় কেন ? মাছ মারা যাবার কারন কি ?
যারা অ্যাকুরিয়ামে মাছ পোষেন , মাছ মারা যাওয়া ,তাদের কাছে আতঙ্কের কারন । যারা এই রঙ্গিং মাছ পোষেন ,তারা অনেক পছন্দ করে অনেক দোকান ঘুরে খুব যত্ন করে বাড়িতে নিয়ে আসেন ,কিন্তু দেখা যায় অনেক মাছই ১ দিন ২ দিন ১সপ্তাহ বা দিনের দিন ই মরে যায় । মন খারাপ হয়ে যায় , মাছ বাচানোর জন্য পাগলের মত এক দোকান থেকে অন্য দোকান ঘুরে ঘুরে মাছ বাচানোর চেষ্টা করেন । নানান লোকের মত নিতে দেখা যায় । কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসফল হয়ে মাছ পোষা ছেড়ে দেয় ।
সফল ভাবে মাছ পোষার জন্য যে দিক গুলি আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে ,সে গুলি আপনাকে
মেনে চলতেই হবে । অ্যাকুরিয়াম দেখতে ছোট হলেও এর মধ্যে একটি ইকো সিস্টেম চলে ,বলতে
গেলে এর মধ্যে একটি গোটা পৃথিবী চলে । এর মধ্যের প্রতিটি জিনিস , প্রতিটি মাছ ,গাছ
, ফিল্টার্ , জল , ওষুধ , পাথর , সাজাবার জিনিস , এর প্রত্যেকটি জিনিসের ভুমিকা
আছে । এখানে কারও সখ , কারও জেদ , কারও টাকার জোর খাটবে না । এর নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে
আপনাকে চলতে হবে । যদি মেনে চলতে পারেন তবেই অ্যাকুরিয়াম এ মাছ পুষবেন অন্যথায় এই
সখ থেকে বিরত থাকুন । প্রতিটি মাছেরই প্রান আছে , এই প্রান কে অযথা মেরে ফেলার
অধিকার আপনার নেই । ভালো করে
ভাবনা চিন্তা করে মাছ পুষবেন ।
এবার দেখা যাক কি কি
কারনে মাছ মরে ঃ
১) অ্যাকুরিয়ামের
আয়তন অনুযায়ি মাছের পরিমান বেশি রাখা ।
২) মাছের জাতের ভুল
একত্রীকরণ অর্থাৎ যে জাতের মাছ গুলি রাখা হয়েছে , সেগুলি একসাথে থাকে কিনা সেটা না
বুঝে রাখা ।
৩) দোকান থেকে রোগ
গ্রস্থ মাছ এনে ছাড়া ।
৪) যে দোকান থেকে
আপনি মাছ কিনছেন ,সেই দোকানের অ্যাকুরিয়ামের জলে কোন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ
ব্যাবহার করা হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারে আগে নিশ্চিত হোন । কোন রকম অ্যান্টিবায়োটিক
দেওয়া জল থেকে মাছ ভুলেও কিনবেন না । কারন ওই জল থেকে মাছ কিনে এনে আপনার
অ্যাকুরিয়ামে ছাড়লে ,ওই মাছের গায়ে লেগে থাকা জল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কনা
মাত্র আপনার অ্যাকুরিয়ামে এলে আপনার অ্যাকুরিয়ামের ভালো ব্যাক্টিরিয়া গুলি ,যে
গুলি আপনার অ্যাকুরিয়ামের জল কে ভালো রাখে এবং মাছের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ,সেই
উপকারি ব্যাক্টেরিয়া গুলি মারা যাবে । এমন কি আপনি যদি ওই মাছটিকে বাড়িতে এনে ভালো
জল দিয়ে ধুয়েও ফেলেন ,তা হলেও হবে না ।
কারন অ্যান্টি বায়োটিক এর কনা ওই মাছের শরীরের মধ্যে অন্তত ৩০ দিন পর্যন্ত থেকে
যায়,কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক আরো বেশিদিন পর্যন্ত মাছের শরিরে থাকে । তাই প্রথমেই
মাছ কেনার সময় সাবধান ।
৫) অ্যাকুরিয়ামের
জলে ব্যাক্টেরিয়া গুলি যদি কোন কারনে মারা যায় ।
৬) অ্যাকুরিয়ামের জল
সঠিক ভাবে ফিল্টার না হওয়া ।
৭) হটাত করে জলের
তাপমাত্রার পরিবর্তন ।
৮) আচমকা জলের পি
এইচ এর পরিবর্তন করা ।
৯) জলের মধ্যে প্লাস্টিকের
গাছ , রং করা পাথর , বা কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা কোন সাজাবার জিনিস ব্যাবহার করা ।
১০) বেশি করে খাবার
দেওয়া ।
১১) জলের মধ্যে
গাছের পাতা পচা ।
১২) জলে অক্সিজেনের
পরিমান কম বা বেশি থাকা ।
13) এক সঙ্গে বড় ছোট সব রকমের মাছ ছাড়া
।
১৪) বর্তমানে
মাছ পোষার আরো একটি বড় সমস্যা হল ভালো মানের মাছ অ্যাকুরিয়ামে না ছাড়া। বর্তমানে কলকাতায় যত
রঙ্গিং মাছ পাওয়া যায় তার ৯০ শতাংশ মাছ পুকুরে চাষ করা হয় । বাণিজ্যিক
ভাবে পুকুরে মাছ চাষ করা অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হলেও যে দিন থেকে পুকুরে মাছ চাষ করা সুরু হয়েছে , সেই দিন থেকে যারা সখ করে মাছ পোষেন , তাদের জন্য দুঃখের দিন সুরু হয়ে গেছে। যারা অ্যাকুরিয়ামে মাছ পোষেন তাদের
মধ্যে শতকরা ৯৯ জন অ্যাকুরিয়ামে কলের জল বা মাটির তলার জল ব্যাবহার করে থাকেন । এই মাটির তলার জলের কেমিক্যাল এবং বায়োলজিক্যাল
কম্পোজিসান পুকুরের জলের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । এই কারনে পুকুরে চাষ করা মাছ আপনার
অ্যাকুরিয়ামের জলে মানিয়ে নিতে বেশিরভাগ সময়েই পারেনা । মাছ মারা গেলে আমরা কারন হাতড়ে বেড়াই। পুকুরে চাষ করা মাছ সস্তা হবার কারনে
মাছ মারা যাবার পর আবার আমরা ওই মাছই কিনে এনে অ্যাকুরিয়ামে ছেড়ে দিই , এবং আবার মাছ মারা যায় । এই ভাবে চলতে চলতে হয়তো ২/৪ টি মাছ বেঁচে যায়। পরে যখন আবার ২/১ টিমাছ অ্যাকুরিয়ামে ছাড়লে আবার মাছ
মরতে সুরু করে। কখনও দেখা যায় নতুন ছাড়া মাছের সাথে
সাথে আপনার অ্যাকুরিয়ামের পুরানো সুস্থ মাছ গুলিও
একসাথে মারা গেলো । এই ভাবে ৩/৪ বার চলার পরে বেশিরভাগ মানুষ বিরক্ত
হয়ে অ্যাকুরিয়াম টিকে খালি ফেলে রেখে দেয় ।
১৫) অ্যাকুরিয়ামের
মাছেদের রোগ নির্ণয় করতে না পারা ।
অ্যাকুরিয়ামে মাছ বাঁচিয়ে রাখতে হলে কি করতে হবে ?
১ প্রথমে একটি ভালো মানের অ্যাকুরিয়ামের দোকান পছন্দ করুন যিনি আপনাকে ভালো মানের
সুস্থ সবল মাছ সরবরাহ করবেন ।
২) এমন দোকান
থেকে মাছ কিনুন যিনি তার দোকানে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যাবহার করেন না ।
৩) এমন দোকান
থেকে মাছ কিনুন যার দোকানে র অ্যাকুরিয়াম গুলিতে ভালো ব্যাকটেরিয়া জন্মে আছে। এখন অ্যাকুরিয়ামের জলে ভালো ব্যাকটেরিয়া
আছে কিনা বুঝবেন কি করে? এটা বোঝার সহজ উপায় হোল , অ্যাকুরিয়ামের গায়ে শ্যাওলা
থাকবে অথচ জলও খুব পরিস্কার থাকবে । আর অ্যাকুরিয়ামের জলে কোন খারাপ গন্ধ থাকবে না ।
৪) অ্যাকুরিয়ামে
অতিরিক্ত মাছ রাখবেন না ।
৫) অ্যাকুরিয়ামে
জ্যান্ত গাছ লাগান। জ্যান্ত গাছ মরে যাবে , পচে যাবে ,এই ভয়ে জ্যান্ত গাছের পরিবর্তে প্ল্যাস্টিক
গাছ রাখবেন না । মনে রাখবেন জ্যান্ত গাছ আপনার অ্যাকুরিয়ামের
জলকে খুবই ভালো রাখতে সাহায্য করে । একটি যে
কোন ভালো ফিল্টার ও জ্যান্ত গাছের সমকক্ষ হতে পারে না ।
৬) মাছের রোগ
সঠিক ভাবে নির্ণয় করুন , সেই মতো প্রতিকার করুন । সথিক সময়ে রোগের প্রতিকার আপনার মাছ
মারা যাবার আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দেবে ।
৭) মাছের রোগ
হবার পরে চিকিৎসা করার থেকে ,আগে থেকে সাবধানতা
গ্রহন করাটাই সব থেকে ভালো । কারন বেশীরভাগ
ক্ষেত্রেই আমরা যখন বুঝতে পারি যে মাছের অসুখ করেছে, সেটা মাছেদের জন্য অনেকটাই দেরি হয়ে
যায়।
৮) অ্যাকুরিয়ামে
যে কোন রং করা জিনিস বা কেমিক্যাল আছে এমন কোন জিনিস অ্যাকুরিয়ামের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৯) মাছেদের
অতিরিক্ত খাবার দেবেন না ।
১০) যে মাছের
যেমন ধরনের জল প্রয়োজন হয় সেই মাছের জন্য সে ধরনার জল ব্যাবহার করুন ।
১১) আপনার অ্যাকুরিয়ামের
ফিল্টারের কার্যকারিতা সঠিক ভাবে চলছে কিনা ,সেই দিকে অবশ্যই লক্ষ রাখবেন ।
১২) অ্যাকুরিয়ামে
মাছ ছাড়ার সময় মাছকে আপনার অ্যাকুরিয়ামের জলের সঙ্গে ভালো করে মানিয়ে নিয়ে
( adoptetion ) তবেই মাছ ছাড়বেন ।
১৩) যে মাছ যে
মাছের সঙ্গে ভালো ভাবে থাকতে পারে , সেই ভাবে মাছ পছন্দ করবেন ।
১৪) যে সমস্ত
মাছ আপনি অ্যাকুরিয়ামে ছাড়বেন সেই মাছ গুলির মদ্ধে সাইজের সমতা রাখবেন। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি অনেকেই ২/৪ টি বড় মাছ এর সঙ্গে কিছু ছোট মাছ
ছেড়ে দেন । এটা খুবই খারাপ চিন্তা ভাবনা ।
১৫ জলে নিয়ম মতো ওষুধ ব্যাবহার অবশ্যই
করবেন । অনেক সময় দেখবেন ওষুধ ছাড়াই মাছ বেশ
ভালোই থাকছে। কিন্তু জেনে রাখবেন যখন আপনার অলক্ষে
মাছের অসুখ ধরে যাবে তখন আপনার বুঝতে বুঝতেই ২/৪ টি মাছ মরে যাবে ।
১৬) অ্যাকুরিয়ামের
জল নিয়ম মেনে পরিস্কার করবেন । যখন ইচ্ছা
হলো জল পরিস্কার করলেন বা কিছুটা জল পালটে দিলেন, এমনটা ভুলেও করবেন না ।
আমার মাচ এর লেজ গুলো কেমন খসে যাচ্ছে
ReplyDeleteকি করবো একটু বলে দিন
Amar aquriam ar akoi obosta hoise .Akdin por por mas mara jasse plz me
DeleteThat's finrot disease. It is highly infectious bacterial disease, comes from various causes. Like poor quality of your aquarium water, any injuries in your fish body, may comes from newly included fish or any live food.
DeleteTreatment: use any good quality antibacterial fish medicine.
You may use gentian violet , this medicine available at any human medicine pharmacy.
মাছ এর চোখ ঘোলা হলে কি করবো
ReplyDeleteIt's a last stage to dieing your fish.
DeleteTreatment: chlrophenical eye drop . Use this medicine directly fish eyes by medicated cotton. This medicine available at any human medical store. Use this medicine twice a day upto recover.
আমার একুরিয়ামের মাছ প্রায় সময়ই ঝিমিয়ে যায়... আর এঞ্জেল ফিসগুলো ঝিমিয়ে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে মারা যায়... এখন করণীয় কি?
ReplyDeleteএঞ্জেল মাছ একুরিযামে ছাড়ার পরে ছিমিয়ে যাচ্ছে তার পরেই মারা যাচ্ছে কেন এর প্রতিকার কি ভাবে যাবে
ReplyDeleteকমেট মাছের রেডস্পট রোগের হলে কি করনীয়? দয়া করে একটু বলবেন,,,,?
ReplyDeleteমাছ শুকিয়ে মারা যায় এর প্রতিকার কি যানাবেন প্লিজ
ReplyDeleteLack of water change is the main cause. Please change your aquarium water at least 30% in every week.
Deleteআমার পুকুরে গোল্ডেন মাছের ছাড়া মারা যাচ্ছে কি করবো
ReplyDeleteDetails janan,
Delete