ছেলে মাছ এবং মেয়ে মাছ
অ্যাকুরিয়ামের মাছ জোড়ায় জোড়ায় রাখাই ভালো অর্থাৎ একটি ছেলে মাছ এবং একটি মেয়ে মাছ। এর ফলে আপনি আপনার অ্যাকুরিয়ামে যে জাতের মাছই রাখুন না কেন মাছ গুলি অনেক চনমনে থাকে । অ্যাকুরিয়ামের মাছ জোড়ায় জোড়ায় রাখার সুবিধা গুলি হল ঃ
১) মাছ অনেক সতেজ ভাবে অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে চলাচল করে । একটি মাছ ছাড়লে দেখবেন মাছ টি বেশ মন মরা হয়ে আছে । এটা ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন টাইগার সার্ক রাখলে । এই জাতের মাছ ১টি রাখলে দেখবেন মাছ টি অ্যাকুরিয়ামের এককোণে বাএকদম নিচে বসে থাকছে , কিন্তু যেই আপনি আরো একটি মাছ এনে ছেড়ে দেবেন কিছুক্ষন পরে থেকেই দেখবেন ২ টি মাছই একসঙ্গে মনের আনন্দে অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
২) মাছের মেজাজ ঠিক থাকে । জোড়া করে মাছ রাখলে অন্য মাছেদের আক্রমন সাধারনত করে না । নিজেদের মধ্যে খেলা করে ।
৩) কিছু জাতের মাছ আছে যাদের একটি মাছ রাখলে অন্য মাছেদের লেজ ঠুকরে দেয় কিন্তু জোড়া রাখলে শান্ত ভদ্র ভাবে অন্য মাছেদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে । যেমন লোচ জাতের মাছ , রেড টেল সার্ক , রেইনবো সার্ক , ইত্যাদি ।
৪) যে সমস্ত মাছ বেশ কয়েক বছর বেঁচে থাকতে পারে , যেমন এঞ্জেল জাতের মাছ , গোরামি জাতের মাছ , সিভোরাম জাতের মাছ ,ইত্যাদি । এই সমস্ত জাতের মাছ গুলি অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে অন্যান্য মাছেদের সঙ্গে বেশ মিলিমিশে থাকতে পারে , যদি এই মাছ গুলি কে জোড়া রাখা যায় তবেই । এই জাতের মাছের কোন একটি মারা গেলে , কয়েক দিন পরে থেকেই দেখবেন হয় মাছটি অন্য মাছেদের আক্রমন করছে অথবা সেটিও মারা গেছে । তাই এই সমস্ত মাছ গুলি অ্যাকুরিয়ামে রাখতে হলে অবশ্যই জোড়া রাখতে হবে এবং এর কোন একটি মারা গেলে স্বত্তর তার জোড়া এনে অ্যাকুরিয়ামে ছাড়বেন ।
৫) যে সমস্ত জাতের মাছ গুলি সরাসরি বাচ্চা পারে সেই সমস্ত মাছ গুলি যদি আপনি ১ টি করে রাখেন তাহলে মাছের বাচ্চা পাবেন না । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা পাওয়াটাও আপনাকে আরো উৎসাহিত হয়ে উঠতে সাহায্য করবে ।
৬) এক জোড়া মাছ রাখলে দেখতেও খুব ভালো লাগবে ।
৭) কিছু জাতের মাছ আছে যাদের এক সঙ্গে বেশি সংখ্যায় রাখতে হয় , সেই সমস্ত মাছ গুলিকে বেশি সংখ্যায় না রাখলে অ্যাকুরিয়ামের অন্য মাছেদের বিরক্ত করবে । যেমন টাইগার বার্ব , রোসি বার্ব ইত্যাদি ।
৮) আবার কিছু জাতের মাছ আছে যাদের ১ টি করেই রাখতে হয় , যেমন ফ্লাওয়ার হর্ন , ফাইটার ( বেটা ) ,আরোয়ানা ইত্যাদি , এই সমস্ত জাতের মাছেদের শুধু মাত্র প্রজননের সময় জোড়ায় রাখতে হয় বা রাখা যায় । অন্য সময় এই জাতের মাছেদের জোড়ায় রাখা যায় না । যদি রাখেন তাহলে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ১ টী মাছ অবশ্যই মারা যাবে । মাছ কেনার আগে ভালো করে জেনে বুঝে নিয়ে তবেই মাছ কিনবেন ।
৯) অ্যাকুরিয়ামের অনেক মাছ ই আছে যারা অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ডিম পাড়ে । বাচ্চা অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ফুটুক বা নাই ফুটূক বড় মাছ গুলি অনেক সময় ডিম পাড়তে না পেরে মারা যেতে পারে ।
১০) অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ১ টি ছেলে মাছের সঙ্গে ১ টি মেয়ে মাছ রাখলে তবেই ছেলে মাছের গায়ের রং গাড় হবে , মেয়ে মাছ না রাখলে ছেলে মাছ টিও বিবর্ণ দেখতে লাগবে ।তাই আপনার অ্যাকুরিয়ামে মাছের রং ভালো রাখতে হলে অবশ্যই মেয়ে মাছ রাখবেন ।
৩) কিছু জাতের মাছ আছে যাদের একটি মাছ রাখলে অন্য মাছেদের লেজ ঠুকরে দেয় কিন্তু জোড়া রাখলে শান্ত ভদ্র ভাবে অন্য মাছেদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে । যেমন লোচ জাতের মাছ , রেড টেল সার্ক , রেইনবো সার্ক , ইত্যাদি ।
৪) যে সমস্ত মাছ বেশ কয়েক বছর বেঁচে থাকতে পারে , যেমন এঞ্জেল জাতের মাছ , গোরামি জাতের মাছ , সিভোরাম জাতের মাছ ,ইত্যাদি । এই সমস্ত জাতের মাছ গুলি অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে অন্যান্য মাছেদের সঙ্গে বেশ মিলিমিশে থাকতে পারে , যদি এই মাছ গুলি কে জোড়া রাখা যায় তবেই । এই জাতের মাছের কোন একটি মারা গেলে , কয়েক দিন পরে থেকেই দেখবেন হয় মাছটি অন্য মাছেদের আক্রমন করছে অথবা সেটিও মারা গেছে । তাই এই সমস্ত মাছ গুলি অ্যাকুরিয়ামে রাখতে হলে অবশ্যই জোড়া রাখতে হবে এবং এর কোন একটি মারা গেলে স্বত্তর তার জোড়া এনে অ্যাকুরিয়ামে ছাড়বেন ।
৫) যে সমস্ত জাতের মাছ গুলি সরাসরি বাচ্চা পারে সেই সমস্ত মাছ গুলি যদি আপনি ১ টি করে রাখেন তাহলে মাছের বাচ্চা পাবেন না । অ্যাকুরিয়ামের মাছের বাচ্চা পাওয়াটাও আপনাকে আরো উৎসাহিত হয়ে উঠতে সাহায্য করবে ।
৬) এক জোড়া মাছ রাখলে দেখতেও খুব ভালো লাগবে ।
৭) কিছু জাতের মাছ আছে যাদের এক সঙ্গে বেশি সংখ্যায় রাখতে হয় , সেই সমস্ত মাছ গুলিকে বেশি সংখ্যায় না রাখলে অ্যাকুরিয়ামের অন্য মাছেদের বিরক্ত করবে । যেমন টাইগার বার্ব , রোসি বার্ব ইত্যাদি ।
৮) আবার কিছু জাতের মাছ আছে যাদের ১ টি করেই রাখতে হয় , যেমন ফ্লাওয়ার হর্ন , ফাইটার ( বেটা ) ,আরোয়ানা ইত্যাদি , এই সমস্ত জাতের মাছেদের শুধু মাত্র প্রজননের সময় জোড়ায় রাখতে হয় বা রাখা যায় । অন্য সময় এই জাতের মাছেদের জোড়ায় রাখা যায় না । যদি রাখেন তাহলে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ১ টী মাছ অবশ্যই মারা যাবে । মাছ কেনার আগে ভালো করে জেনে বুঝে নিয়ে তবেই মাছ কিনবেন ।
৯) অ্যাকুরিয়ামের অনেক মাছ ই আছে যারা অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ডিম পাড়ে । বাচ্চা অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ফুটুক বা নাই ফুটূক বড় মাছ গুলি অনেক সময় ডিম পাড়তে না পেরে মারা যেতে পারে ।
১০) অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে ১ টি ছেলে মাছের সঙ্গে ১ টি মেয়ে মাছ রাখলে তবেই ছেলে মাছের গায়ের রং গাড় হবে , মেয়ে মাছ না রাখলে ছেলে মাছ টিও বিবর্ণ দেখতে লাগবে ।তাই আপনার অ্যাকুরিয়ামে মাছের রং ভালো রাখতে হলে অবশ্যই মেয়ে মাছ রাখবেন ।
অ্যাকুরিয়ামে আপনি যে জাতের মাছই ছারুন না কেন , সব সময় চেষ্টা করবেন এক জোড়া মাছ ছাড়তে । তবে খেয়াল রাখবেন আপনি যে মাছের জোড়াটি কিনছেন সেটি যেন একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে মাছ হয় । অনেক সময় দেখা যায় আপনি মাছের যে জোড়াটি কিনেছেন তা হয় দুটোই ছেলে মাছ বা দুটোই মেয়ে মাছ কেনা হয়ে গেছে ।এই রকম যেন না হয় । অনেক সময় দোকানদারের ভুলেও এটা হতে পারে , আবার নিজেরা যখন মাছ পছন্দ করবেন আপনারও যেন ভুল না হয়ে যায় । মাছের জোড়া কেনার সময় বেশিরভাগ মানুষই চেষ্টা করেন সব থেকে বড় মাছ দুটি নেবার বা সব থেকে রং গাড় যে মাছ দুটির সেই মাছ দুটি নেবার । এই খানেই সব থেকে বড় ভুল হয়ে যায় । তার কারন মাছেদের জগতে বেশির ভাগ জাতের মাছেদের মধ্যে ছেলে মাছের রং বেশি গাড় এবং উজ্জল হয়ে থাকে এবং মেয়ে মাছের রঙ তুলনায় অনেকটাই কম বা ফ্যাকাসে হয়ে থাকে , আর সবাই চায় বেশি রং ধরা মাছ কিনতে । আবার কিছু জাতের মাছ আছে যাদের ছেলে মাছ গুলি মেয়ে মাছ গুলির তুলনায় আকারে বড় হয় আবার বেশ কিছু জাতের মাছ আছে যাদের মেয়ে মাছ গুলি ছেলে মাছ গুলির তুলনায় আকারে বড় হয় তাই মাছের সাইজের দিকে না তাকিয়ে মাছের ছেলে মেয়ে চিনে নিয়ে তবে কিনুন ।
Parrot fish male & female চিনবো কি করে?
ReplyDelete