ফাইটার মাছের বাচ্চা তোলার উপায়
ফাইটার মাছের বাচ্চা করা খুবই সহজ । অল্প কিছু নিয়ম এবং পদ্ধতি মেনে চললেই এই মাছের বাচ্চা করা যায় ।
তবে একটি মাত্র ছেলে মাছ এবং একটি মাত্র মেয়ে মাছ নিয়ে এই মাছের বাচ্চা করা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ । অনেক সময় দেখা যায় মাত্র এক জোড়া মাছ নিয়ে বাচ্চা তুলতে গিয়ে ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায় , বা কখনো বা সম্ভবই হয় না । এর কারন হল সব ছেলে ফাইটার মাছ বা সব মেয়ে ফাইটার মাছ ডিম পাড়ানোর উপযুক্ত হয় না । এছাড়া এই প্রজাতির মাছেদের মধ্যে ছেলে মাছেদের মেয়ে মাছ পছন্দ করার একটা ব্যাপার আছে । সব ছেলে মাছেদের সব মেয়ে মাছ পছন্দ হয় না । ছেলে মাছেদের মেয়ে মাছ পছন্দ না করিয়ে ডিম পাড়ানোর জন্য একসাথে করলে বেশিরভাগ সময়েই ছেলে মাছটা মেয়ে মাছ টিকে মেরে ফেলে । তাই ফাইটার মাছের ডিম পাড়ানোর জন্য কমপক্ষে ২ টি ছেলে মাছ এবং ৪/৫ টি মেয়ে মাছ প্রয়োজন । ফাইটার মাছের ডিম পাড়াবার জন্য মাছের উপযুক্ত বয়স হল ৬ থেকে ৮ মাস ।
১) প্রথমে ছেলে মাছ গুলি কে আলাদা করে রাখুন মেয়ে মাছ গুলিকে একসঙ্গে রাখতে পারেন , কারন মেয়ে ফাইটার মাছ একসঙ্গে থাকতে পারে । . ছেলে এবং মেয়ে ফাইটার মাছ সবাইকেই আলাদা ভাবে কাঁচের জারে রাখবেন , এতে ছেলে মাছের মেয়ে মাছ পছন্দ করানোর সময় সুবিধা হবে ।
২) সব মাছ গুলিকেই কেঁচো খাওয়াতে হবে ।
৩) ১৫ থেকে ২০ দিন পরে দেখবেন মেয়ে ফাইটার মাছের পেট ডিম এ ফুলে উঠবে ।
৪) এবার ছেলে ফাইটার মাছের কাঁচের জার টি মেয়ে মাছেদের কাঁচের জারের একদম গায়ে রেখে দিন । এই ভাবে ২ , ৩ দিন রাখার পরে দেখবেন ছেলে ফাইটার মাছ টী তার নিজের জারের ভিতরে বুদবুদের বাসা তৈরি করছে । এরকম দেখলে বুঝতে পারবেন ছেলে মাছটি দিম পাড়াবার জন্য প্রস্তুত । এবারে ছেলে ফাইটার মাছটিকে একটি কাঁচের অ্যাকুরিয়ামে ছাড়ুন । অ্যাকুরিয়ামটির মাপ হবে ১২ ইঞ্চি লম্বা ১২ ইঞ্চি চওড়া এবং ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি উচু । ওই অ্যাকুরিয়ামটি তে ৬ ইঞ্চি জল দিন । জল ৪৮ ঘন্টা পুরানো করে , ওই জলে যে মেয়ে মাছটির পেটে সব থেকে বেশি ডিম আছে সেই মাছ টিকে ছাড়ুন । তার পর একটি ছোট কাচের শিশি বা জারে করে যে ফাইটার মাছ টি বুদবুদের বাসা তৈরি করেছিল সেই ছেলে মাছ টি কে ওই অ্যাকুরিয়ামতি মধ্যে ভাসিয়ে রাখুন এই ভাবে ছেলে মাছটির সাথে মেয়ে মাছ টির পরিচয় হতে দিন । যদি ওই ছেলে ফাইটার মাছটির ওই মেয়ে মাছটিকে পছন্দ হয় তাহলে ওই ছেলে মাছটি ঐ ছোট জারের মধ্যে একবেলা বা একদিনের মধ্যে আবার বুদবুদের বাসা তৈরি করবে । যদি এরকম দেখতে পান তাহলে বুঝবেন অই ছেলে মাছটির ওই মেয়ে মাছটিকে পছন্দ হয়েছে । ছেলে মাছটি যদি এই রকম বাসা না করে তাহলে বুঝবেন ছেলে মাছ টীর ওই মেয়ে মাছটিকে পছন্দ হয়নি । এই রকম ঘটলে অ্যাকুরিয়ামটির মধ্যের মেয়ে মাছটিকে বদল করে দেখতে হবে । যে মাছটিকে দেখে ছেলে মাছটি বুদবুদের বাসা তৈরি করবে ,সেই মাছটিকে ঐ অ্যাকুরিয়ামটিতে রেখে ছেলে মাছটিকে ওই জলে ছেড়ে দেবেন । তবে মনে রাখবেন যে মেয়ে মাছই ব্রিডিং এর জন্য ওই অ্যাকুরিয়ামে ছাড়ুন না কেন মেয়ে মাছটির পেট যেন ডিম এ ভরা থাকে ।
৫) একদিন পরে দেখবেন ছেলে মাছটি আবার নতুন করে ওই অ্যাকুরিয়ামের ভিতর বুদবুদের বাসা তৈরি করবে । এই সময় ওই অ্যাকুরিয়ামের গা থেকে কোন জিনিস বিশেষ করে শুখনো কলাগাছের পাতা সরু করে কেটে নিয়ে জলে কিছুটা ভাসিয়ে দেবেন আর অন্য দিকটি অ্যাকুরিয়ামের কানার দিকে বেঁধে দেবেন । এটা করার ফলে যে সুবিধা টি হবে , তা হল ছেলে মাছটি যে বুদবুদের বাসা টি বানাবে সেটি সহজে ভেঙ্গে যাবে না । বাসাটি ওই পাতার গায়ে আঁটকে থাকবে । এর পরে ছেলে মাছটির বাসা বানানো হয়ে গেলে ছেলে মাছটি নিজের শরীর বাঁকিয়ে মেয়ে মাছটিকে চেপে চেপে ডিম পাড়াতে থাকবে । এই ভাবে বেশ কয়েকবার মেয়ে মাছটিকে চেপে চেপে ডিম পাড়াবে । মেয়ে মাছের পেট থেকে ডিম ঝরে পড়লেই আপনি দেখতে পাবেন ছেলে মাছ টি ওই ডিমের প্রত্যেকটি মুখে করে তুলে নিয়ে ওই বুদবুদের বাসায় রেখে আসবে । যখন ডিম পাড়ানো শেষ হবে ,তার কিছুক্ষণ পরে থেকেই দেখবেন ছেলে মাছটি মেয়ে মাছটিকে মারতে সুরু করে দিয়েছে । এই রকম দেখতে পেলে , বা যদি দেখেন মাছের ডিম পাড়ানো শেষ হয়ে গেছে , মেয়ে মাছ টিকে খুব সাবধানে তুলে নিয়ে অন্য কোন আলাদা জারে ছেড়ে রাখবেন । মেয়ে মাছ টিকে আলাদা করে অন্তত ২ দিন না রাখলে , অন্য মাছে ঠুকরে মেরে ফেলবে আপনি ফিমেল ফাইটারের সঙ্গে রাখলেও হবে না , অন্য মেয়ে ফাইটারে মেরে ফেলার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ । ডিম পাড়ানোর অ্যাকুরিয়াম থেকে মেয়ে ফাইটার মাছ টিকে তোলার সময় খুব সাবধানে তুলবেন , বুদ বুদের বাসা যেন কোন ভাবেই নস্ট না হয়ে যায় । এর পরে দেখবেন ছেলে মাছটি কেমন সুন্দর ভাবে ঐ ডিম এবং বাসা টিকে আগলে রাখবে । ফাইটার মাছের ডিম সাধারনত ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার ভিতরে ফুটে যায় । বাচ্চা ফোটার ২৪ ঘন্টা পরে খুব মিহি ডাফনিয়া , অথবা ইনফিউজোরিয়া ,অথবা সদ্য ফোটানো ব্রাইন স্রিম্প এর ডিম খেতে দিতে পারেন ।
৬) বাচ্চা কে খেতে দেবার আগে ছেলে মাছটি তুলে নেবেন ।
অবশ্যই মনে রাখবেন ঃ
১) ফাইটার মাছের বাচ্চা তোলার অ্যাকুরিয়ামে কোন রকম ফিল্টার চালাবেন না ।
২) কোন রকম এয়ার পাম্প চালাবেন না ।
৩) খেয়াল রাখবেন ওই জলে যেন কোন রকম নাড়া চাড়া না পরে ।
৪) এমন কিছু করবেন না যাতে ছেলে ফাইটার মাছটি ভয় পেয়ে না যায় , ভয় পেলে ডিম খেয়ে নিতে পারে ।
৫) ডিম পাড়াবার আগে পর্যন্ত ছেলে এবং মেয়ে মাছ টিকে নিয়ম মত খাবার দেবেন , কিন্তু ডিম পাড়া হয়ে গেলে আর খেতে দেবেন না । মাছের বাচ্চা ফোটার পরে বাচ্চাদের নিয়ম মতন খেতে দেবেন ।
৬) মাছের বাচ্চা দিন অনুপাতে যেমন বড় হতে থাকবে সেই অনুপাতে ওই বাচ্চাদের খেতে দেবেন ।
৭) ভুলেও বেসি খেতে দেবেন না , বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় পরিমানে খেতে দেবেন ।
৮) ডিম পাড়ার পরে জলের পরিমানের উপর ২ / ৪ ফোটা মেথিলিন ব্লু দিতে পারেন , এতে ডিমের ফাঙ্গাস পরিমান কম হবে । তবে মনে রাখবেন এই ওষুধ বাসার উল্টো দিকে জলে দেবেন , বাসার উপরে বা বাসার কাছা কাছি মেথিলিন ব্লু দেবেন না ।
৯) এই মাছের ডিম জলের উপরিতলে ভেসে থাকে । তাই খেয়াল রাখবেন বাসার উপরে যেন সরাসরি রোদ্দুর না পড়ে , এতে তাপে ডিম নস্ট হয়ে যাবে , এর উপরে এমন কোন আলোও লাগাবেন না যাতে জলের উপরে তাপ পায় । সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি এই মাছের ডিম একটু আধা অন্ধকার ঘরে ফোটানোর ব্যাবস্থা করেন ।
১০) যদি দেখেন ব্রিডিং অ্যাকুরিয়ামটিতে অনেক পরিমানে বাচ্চা ফুটেছে , তাহলে বাচ্চার বয়েস ২ দিন হবার পরে , ওই বাচ্চা গুলি আরো কোন বড় অ্যাকুরিয়ামে ছেড়ে দিতে পারেন । এতে আপনি বেশীরভাগ বাচ্চাই বাঁচাতে পারবেন । তবে মনে রাখবেন জলের উচ্চতা যেন ৬ থেকে ৭ ইঞ্চির বেসি না হয় । জলের উচ্চতা বেসি থাকলে বাচ্চা মরে যেতে পারে । ওই জলে অ্যানাকারিস গাছ ভাসিয়ে রাখলে বাচ্চা আরো ভালো থাকবে ।
তবে একটি মাত্র ছেলে মাছ এবং একটি মাত্র মেয়ে মাছ নিয়ে এই মাছের বাচ্চা করা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ । অনেক সময় দেখা যায় মাত্র এক জোড়া মাছ নিয়ে বাচ্চা তুলতে গিয়ে ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায় , বা কখনো বা সম্ভবই হয় না । এর কারন হল সব ছেলে ফাইটার মাছ বা সব মেয়ে ফাইটার মাছ ডিম পাড়ানোর উপযুক্ত হয় না । এছাড়া এই প্রজাতির মাছেদের মধ্যে ছেলে মাছেদের মেয়ে মাছ পছন্দ করার একটা ব্যাপার আছে । সব ছেলে মাছেদের সব মেয়ে মাছ পছন্দ হয় না । ছেলে মাছেদের মেয়ে মাছ পছন্দ না করিয়ে ডিম পাড়ানোর জন্য একসাথে করলে বেশিরভাগ সময়েই ছেলে মাছটা মেয়ে মাছ টিকে মেরে ফেলে । তাই ফাইটার মাছের ডিম পাড়ানোর জন্য কমপক্ষে ২ টি ছেলে মাছ এবং ৪/৫ টি মেয়ে মাছ প্রয়োজন । ফাইটার মাছের ডিম পাড়াবার জন্য মাছের উপযুক্ত বয়স হল ৬ থেকে ৮ মাস ।
১) প্রথমে ছেলে মাছ গুলি কে আলাদা করে রাখুন মেয়ে মাছ গুলিকে একসঙ্গে রাখতে পারেন , কারন মেয়ে ফাইটার মাছ একসঙ্গে থাকতে পারে । . ছেলে এবং মেয়ে ফাইটার মাছ সবাইকেই আলাদা ভাবে কাঁচের জারে রাখবেন , এতে ছেলে মাছের মেয়ে মাছ পছন্দ করানোর সময় সুবিধা হবে ।
২) সব মাছ গুলিকেই কেঁচো খাওয়াতে হবে ।
৩) ১৫ থেকে ২০ দিন পরে দেখবেন মেয়ে ফাইটার মাছের পেট ডিম এ ফুলে উঠবে ।
৪) এবার ছেলে ফাইটার মাছের কাঁচের জার টি মেয়ে মাছেদের কাঁচের জারের একদম গায়ে রেখে দিন । এই ভাবে ২ , ৩ দিন রাখার পরে দেখবেন ছেলে ফাইটার মাছ টী তার নিজের জারের ভিতরে বুদবুদের বাসা তৈরি করছে । এরকম দেখলে বুঝতে পারবেন ছেলে মাছটি দিম পাড়াবার জন্য প্রস্তুত । এবারে ছেলে ফাইটার মাছটিকে একটি কাঁচের অ্যাকুরিয়ামে ছাড়ুন । অ্যাকুরিয়ামটির মাপ হবে ১২ ইঞ্চি লম্বা ১২ ইঞ্চি চওড়া এবং ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি উচু । ওই অ্যাকুরিয়ামটি তে ৬ ইঞ্চি জল দিন । জল ৪৮ ঘন্টা পুরানো করে , ওই জলে যে মেয়ে মাছটির পেটে সব থেকে বেশি ডিম আছে সেই মাছ টিকে ছাড়ুন । তার পর একটি ছোট কাচের শিশি বা জারে করে যে ফাইটার মাছ টি বুদবুদের বাসা তৈরি করেছিল সেই ছেলে মাছ টি কে ওই অ্যাকুরিয়ামতি মধ্যে ভাসিয়ে রাখুন এই ভাবে ছেলে মাছটির সাথে মেয়ে মাছ টির পরিচয় হতে দিন । যদি ওই ছেলে ফাইটার মাছটির ওই মেয়ে মাছটিকে পছন্দ হয় তাহলে ওই ছেলে মাছটি ঐ ছোট জারের মধ্যে একবেলা বা একদিনের মধ্যে আবার বুদবুদের বাসা তৈরি করবে । যদি এরকম দেখতে পান তাহলে বুঝবেন অই ছেলে মাছটির ওই মেয়ে মাছটিকে পছন্দ হয়েছে । ছেলে মাছটি যদি এই রকম বাসা না করে তাহলে বুঝবেন ছেলে মাছ টীর ওই মেয়ে মাছটিকে পছন্দ হয়নি । এই রকম ঘটলে অ্যাকুরিয়ামটির মধ্যের মেয়ে মাছটিকে বদল করে দেখতে হবে । যে মাছটিকে দেখে ছেলে মাছটি বুদবুদের বাসা তৈরি করবে ,সেই মাছটিকে ঐ অ্যাকুরিয়ামটিতে রেখে ছেলে মাছটিকে ওই জলে ছেড়ে দেবেন । তবে মনে রাখবেন যে মেয়ে মাছই ব্রিডিং এর জন্য ওই অ্যাকুরিয়ামে ছাড়ুন না কেন মেয়ে মাছটির পেট যেন ডিম এ ভরা থাকে ।
৫) একদিন পরে দেখবেন ছেলে মাছটি আবার নতুন করে ওই অ্যাকুরিয়ামের ভিতর বুদবুদের বাসা তৈরি করবে । এই সময় ওই অ্যাকুরিয়ামের গা থেকে কোন জিনিস বিশেষ করে শুখনো কলাগাছের পাতা সরু করে কেটে নিয়ে জলে কিছুটা ভাসিয়ে দেবেন আর অন্য দিকটি অ্যাকুরিয়ামের কানার দিকে বেঁধে দেবেন । এটা করার ফলে যে সুবিধা টি হবে , তা হল ছেলে মাছটি যে বুদবুদের বাসা টি বানাবে সেটি সহজে ভেঙ্গে যাবে না । বাসাটি ওই পাতার গায়ে আঁটকে থাকবে । এর পরে ছেলে মাছটির বাসা বানানো হয়ে গেলে ছেলে মাছটি নিজের শরীর বাঁকিয়ে মেয়ে মাছটিকে চেপে চেপে ডিম পাড়াতে থাকবে । এই ভাবে বেশ কয়েকবার মেয়ে মাছটিকে চেপে চেপে ডিম পাড়াবে । মেয়ে মাছের পেট থেকে ডিম ঝরে পড়লেই আপনি দেখতে পাবেন ছেলে মাছ টি ওই ডিমের প্রত্যেকটি মুখে করে তুলে নিয়ে ওই বুদবুদের বাসায় রেখে আসবে । যখন ডিম পাড়ানো শেষ হবে ,তার কিছুক্ষণ পরে থেকেই দেখবেন ছেলে মাছটি মেয়ে মাছটিকে মারতে সুরু করে দিয়েছে । এই রকম দেখতে পেলে , বা যদি দেখেন মাছের ডিম পাড়ানো শেষ হয়ে গেছে , মেয়ে মাছ টিকে খুব সাবধানে তুলে নিয়ে অন্য কোন আলাদা জারে ছেড়ে রাখবেন । মেয়ে মাছ টিকে আলাদা করে অন্তত ২ দিন না রাখলে , অন্য মাছে ঠুকরে মেরে ফেলবে আপনি ফিমেল ফাইটারের সঙ্গে রাখলেও হবে না , অন্য মেয়ে ফাইটারে মেরে ফেলার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ । ডিম পাড়ানোর অ্যাকুরিয়াম থেকে মেয়ে ফাইটার মাছ টিকে তোলার সময় খুব সাবধানে তুলবেন , বুদ বুদের বাসা যেন কোন ভাবেই নস্ট না হয়ে যায় । এর পরে দেখবেন ছেলে মাছটি কেমন সুন্দর ভাবে ঐ ডিম এবং বাসা টিকে আগলে রাখবে । ফাইটার মাছের ডিম সাধারনত ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার ভিতরে ফুটে যায় । বাচ্চা ফোটার ২৪ ঘন্টা পরে খুব মিহি ডাফনিয়া , অথবা ইনফিউজোরিয়া ,অথবা সদ্য ফোটানো ব্রাইন স্রিম্প এর ডিম খেতে দিতে পারেন ।
৬) বাচ্চা কে খেতে দেবার আগে ছেলে মাছটি তুলে নেবেন ।
অবশ্যই মনে রাখবেন ঃ
১) ফাইটার মাছের বাচ্চা তোলার অ্যাকুরিয়ামে কোন রকম ফিল্টার চালাবেন না ।
২) কোন রকম এয়ার পাম্প চালাবেন না ।
৩) খেয়াল রাখবেন ওই জলে যেন কোন রকম নাড়া চাড়া না পরে ।
৪) এমন কিছু করবেন না যাতে ছেলে ফাইটার মাছটি ভয় পেয়ে না যায় , ভয় পেলে ডিম খেয়ে নিতে পারে ।
৫) ডিম পাড়াবার আগে পর্যন্ত ছেলে এবং মেয়ে মাছ টিকে নিয়ম মত খাবার দেবেন , কিন্তু ডিম পাড়া হয়ে গেলে আর খেতে দেবেন না । মাছের বাচ্চা ফোটার পরে বাচ্চাদের নিয়ম মতন খেতে দেবেন ।
৬) মাছের বাচ্চা দিন অনুপাতে যেমন বড় হতে থাকবে সেই অনুপাতে ওই বাচ্চাদের খেতে দেবেন ।
৭) ভুলেও বেসি খেতে দেবেন না , বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় পরিমানে খেতে দেবেন ।
৮) ডিম পাড়ার পরে জলের পরিমানের উপর ২ / ৪ ফোটা মেথিলিন ব্লু দিতে পারেন , এতে ডিমের ফাঙ্গাস পরিমান কম হবে । তবে মনে রাখবেন এই ওষুধ বাসার উল্টো দিকে জলে দেবেন , বাসার উপরে বা বাসার কাছা কাছি মেথিলিন ব্লু দেবেন না ।
৯) এই মাছের ডিম জলের উপরিতলে ভেসে থাকে । তাই খেয়াল রাখবেন বাসার উপরে যেন সরাসরি রোদ্দুর না পড়ে , এতে তাপে ডিম নস্ট হয়ে যাবে , এর উপরে এমন কোন আলোও লাগাবেন না যাতে জলের উপরে তাপ পায় । সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি এই মাছের ডিম একটু আধা অন্ধকার ঘরে ফোটানোর ব্যাবস্থা করেন ।
১০) যদি দেখেন ব্রিডিং অ্যাকুরিয়ামটিতে অনেক পরিমানে বাচ্চা ফুটেছে , তাহলে বাচ্চার বয়েস ২ দিন হবার পরে , ওই বাচ্চা গুলি আরো কোন বড় অ্যাকুরিয়ামে ছেড়ে দিতে পারেন । এতে আপনি বেশীরভাগ বাচ্চাই বাঁচাতে পারবেন । তবে মনে রাখবেন জলের উচ্চতা যেন ৬ থেকে ৭ ইঞ্চির বেসি না হয় । জলের উচ্চতা বেসি থাকলে বাচ্চা মরে যেতে পারে । ওই জলে অ্যানাকারিস গাছ ভাসিয়ে রাখলে বাচ্চা আরো ভালো থাকবে ।
ধন্যবাদ সুন্দর করে লিখার জন্য, যার মাধ্যমে আমি উপকৃত হতে পেরেছি
ReplyDeleteবাচ্চার খাবার তৈরি করব কিভাবে এর একটা ডিটেলস লিখলে খুশি হতাম
ReplyDeletenice....
ReplyDeleteকতোদিন পরে পরে ব্রিডিং করানো যায়?
ReplyDeleteএকবার ব্রিড করার কত দিন পর ফাইটার মাছ কে আাবার
ReplyDeleteব্রিড করানো যায়।
I recommend for 1 month gaps.
Deleteধন্যবাদ
ReplyDelete